ফরিদপুর: ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার ঘটনায় বিএনপির ৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অর্ধশতকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুল করিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, গোলাম মোস্তফা মিরাজ, এমটি আক্তার টুটুল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, মিজানুর রহমান মিনান, পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহম্মেদ তাবরীজ, খায়রুল ইসলাম সবুজ, মো. কায়েশ, ভিপি ইউসুফ, ভিপি সেলিম, মামুনুর রশিদ, নাছির উদ্দিন মিলার, গোলাম রব্বানী রতন, ভিপি রেজা, ইশতিয়াকুর রশীদ ইশতি, জহিরুল ইসলাম জহির, বিটু শেখ, খান মামুনকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতাবদ্ধে পরস্পর যোগসাজস ও সহায়তায় পুলিশের ওপর ককটেল বোমা হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া, স্বেচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের ওপর আঘাত করে গুরুতর ও সাধারণ জখম করার অপরাধে পেনাল কোডের ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ ধারা তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৯০৮ এর ৩/৪/৬ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, এই মামলায় মো. কামাল মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন সেজান, রাজীব হোসেন তাওহীদ ইসলাম রাকিজ, মো. তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে ছয় জনকে আটক করে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে সরকারের জুলুম, নির্যাতন এবং ভুয়া ও গায়েবি মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে মহানগর বিএনপির আহুত প্রতিবাদ সভার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ হামলা হয়।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বেপরোয়াভাবে ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সভায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায় বলে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এসআরএস