ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ মনি শুধুমাত্র নেতা নন, নেতা তৈরির কারিগর ছিলেন: তোফায়েল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
শেখ মনি শুধুমাত্র নেতা নন, নেতা তৈরির কারিগর ছিলেন: তোফায়েল  ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শেখ মনি ভাইয়ের হাত ধরে ছাত্রলীগের সদস্য হয়েছিলাম। আমি যখন ১৯৬১ সালে বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র তখন তিনি কলেজে এসেছিলেন।

তিনি তখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মনি ভাই বললেন, তুই ছাত্রলীগ কর।

তিনি আরও বলেন, আমার সবচেয়ে বড় অবদান মনি ভাইয়ের। উনি শুধু নেতা ছিলেন না, নেতা তৈরির কারিগর ছিলেন। মনি ভাই না থাকলে কোথায় ডাকসুর ভিপি, কোথায় ছাত্রলীগের সভাপতি, কিছুই হতাম না। সবই মনি ভাইয়ের জন্যে। মনি ভাই মস্তবড় সংগঠক ছিলেন।  

শনিবার (৩ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু ২৩ এভিনিউ'তে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  
 
তোফায়েল বলেন, ১৯৬৯ সালে মনি ভাই কারাগারে ছিলেন, আমরা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মনি ভাই, রাজ্জাক ভাইকে মুক্ত করি। ১৯৬৯ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি লাভ করেন। গ্রেফতারের আগে মনি ভাই আমার ইকবাল হলে থাকতেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা স্বাধীনতার যে যুদ্ধ করেছি মুজিব বাহিনীর মাধ্যমে মনি ভাই সেখানে আমাদের নেতা ছিলেন। আমারও নেতা, রাজ্জাক ভাইয়েরও নেতা আর সিরাজুল আলম খান তার বন্ধু ছিলেন। আমাদের প্রশিক্ষণ হতো ভারতের দেরাদুনে। মনি ভাই যখন বক্তৃতা করতেন, মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হতেন। মনি ভাই যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন সিলেট, ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে। দেশ স্বাধীনের পর তাকে সেই দুর্গম অঞ্চল থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে মনি ভাই বলেছিলেন, মুনিমের আমলা দিয়ে দেশ চলতে পারে না। মনি ভাই ঠিকই বলেছেন। পরে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। মনি ভাই তেজগাঁওয়ের শ্রমিকদের নেতা ছিলেন, পরে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত করেন, কৃষকলীগেরও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

স্মৃতিচারণা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু আমাদের চারজনকে ডাকেন। মনি ভাই, সিরাজ ভাই, রাজ্জাক ভাই ও আমাকে। বঙ্গবন্ধু বলেন তোমরা যুদ্ধ শুরু হলে কলকাতার সানি ভিলা, ২১ নম্বর রোড, ভবানীপুর শেল্টার নিবা।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কথায় কথায় বলে সরকারের পতন। সরকার পতন এত সহজ! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৃণমূলে বিস্তৃত। আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা যাবে না।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।