ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোথায় সমাবেশ পুলিশ কেন নির্ধারণ করবে: মন্টু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২২
কোথায় সমাবেশ পুলিশ কেন নির্ধারণ করবে: মন্টু

ঢাকা: গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ গণতন্ত্র পরিপন্থী, এই কর্তৃত্ববাদী নিয়ম বাতিল করতে হবে। সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার।

কোথায় সমাবেশ করবে নিরাপত্তার স্বার্থে সেটা পুলিশকে জানানো হবে। কিন্তু পুলিশ কেন নির্ধারণ করবে কোথায় সমাবেশ হবে?

শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) দলের তথ্য ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ দিন বেলা ১১টায় মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে গণফোরামের নির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মন্টু বলেন, বিরোধী দল যখন সভা-সমাবেশ ঘোষণা করে তখনই সরকার পরিকল্পিত অবরোধ দিয়ে পরিবহন বন্ধ করে সমাবেশে বাধা দেয়। আইনের অপপ্রয়োগ করে গায়েবি মামলা দিয়ে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে গণগ্রেফতার করছে। এমন একটি বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বিভিন্ন অপকর্মের কারণে দ্রব্যমূল্যের লাগমহীন ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, ঋণ খেলাপি, মাদক, সন্ত্রাস—এই সকল কারণে জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। বিচ্ছিন্ন সরকার জনতার সভা-সমাবেশকে ভয় পায়, তাই বানচাল করতে উঠে পড়ে লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দল থেকে সভা-সমাবেশ ও জনসভা করা হচ্ছে সেগুলোকে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী সরকার বাধা দেবে সেটাই স্বাভাবিক। আগামী দিনে সরকারের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশ বাধা দেওয়া হবে। এই বাধা দেওয়ার অর্থ হলো এই সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ানো। কিন্তু জনগণ সকল বাধা অতিক্রম করবে। সরকার জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দিলে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হবে, যা রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত।

সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সরকার আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের সুবিধামতো জননিপীড়নের কালা কানুন তৈরি করছে, যাতে তারা অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। সরকার তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, এটা সম্পূর্ণ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। অবিলম্বে ইচ্ছেমতো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। এটা ফ্যাসিস্ট সরকারের আরেকটি জনবিরোধী নবরূপ। এই মুহূর্তে আমাদের লড়াই এই জনগণের অর্থ লুটপাট করে দেশের বাহিরে পাচার করা অপশক্তির বিরুদ্ধে যারা কিনা এই অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে। গণফোরাম সৃষ্টিই হয়েছিলো দুর্বৃত্তায়িত শক্তিকে পরাজিত করতে সেই লক্ষে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।