ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজশাহীতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহী: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে সহযোগিতা আর বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য সরকার প্রশাসনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহীর হোটেল গ্র্যান্ড রিভার ভিউয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সাজা দেওয়া হয়েছে। যেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ফান্ড দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তি হয়েছে, তা সঠিক নয়। কারণ তিনি ওই ফান্ডের টাকা লুট করেননি। এখনও সেই প্রতিষ্ঠানে ৮ কোটি টাকার ওপরে আছে। ফান্ড তছরুপ হলে এই টাকা থাকতো? আর একজন প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন। তার একার পক্ষে তো সবদিকে নজর রাখা সম্ভবও নয়। তাই তার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এই গণসমাবেশগুলো করছে বিএনপি।

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রত্যাশানুযায়ী সমাগম ঘটেনি প্রশ্নে- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটিও সঠিক নয়। অনেক বাধা সত্ত্বেও গণসামাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটেছিল। গণসমাবেশের জন্য তাদের ৩ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারি বাধার কারণে সেই গণসমাবেশ তিন দিনের হয়ে গেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা আগেভাগেই রাজশাহীতে চলে এসেছিলেন। খোলা আকাশের নিচে নানান প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে তিনদিন কাটিয়েছেন। সাধরণ মানুষও তাদের সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন গণঅভ্যুত্থান দেখেছি, সামরিক শাসন দেখেছি। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। রাজশাহীতে নবম এবং সর্বশেষ গণসমাবেশ হয়েছে। আর প্রতিটি সমাবেশেই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে কাজে লাগবে।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস ধর্মঘট ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তির কথা তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান। গণসমাবেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, যেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। দেশে সেই গণতন্ত্র এখন নেই। বলা হচ্ছে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সবকাজেই বাধা দিচ্ছে। সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে পুলিশ সবখানেই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এতকিছুর পরও নেতাকর্মীরা মাঠে আছেন এবং থাকবেন। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।

গণসমাবেশত্তোর এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।