ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২১ বছর পর বিএনপির কমিটি, নেই কোনো অভিনন্দন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
২১ বছর পর বিএনপির কমিটি, নেই কোনো অভিনন্দন ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ  নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে দীর্ঘ ২১ বছর পর। ৩ মাস আগের জেলা বিএনপির সাবেক নেতাদের অনুমোদিত কমিটি ৩ মাস পর প্রকাশ করে থানা বিএনপির নেতারা।

কমিটিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস থাকার কথা থাকলেও নেই কোনো অভিনন্দন কিংবা আনন্দ। উল্টো কমিটিকে ঘিরে অনিয়ম ও যোগ্য অনেককে পদায়ন হয়নি বলে রয়েছে অভিযোগ।

জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ থানা বিএনপির কমিটি অনুমোদন করে জেলা বিএনপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। এ কমিটিতে সভাপতি করা হয় দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মোশারফ হোসেনকে। কমিটিতে ৯ জনকে উপদেষ্টা পদ দেওয়া হয়েছে।  

৩ মাস পর কেন কমিটি প্রকাশ করা হলো জানতে চাইলে কমিটির একাধিক নেতা জানান, মূলত কমিটিতে অনেক যোগ্য ব্যক্তির পদায়ন হয়নি এবং বিষয়টি নিয়ে যেন আলোচনা না হয় সেজন্যই কমিটি নিয়ে লুকোচুরি করেছেন মান্নান ও মোশারফ। আর এ কারণে কমিটি প্রকাশের পরও কেউ উচ্ছ্বাস দেখায়নি। শুভেচ্ছা জানানো কিংবা কমিটির পদ পাওয়া নেতাদের অভিনন্দন জানানো তো দূরের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই কমিটি নিয়ে হয়নি কোনো উচ্ছ্বাস।  

নিয়ম অনুযায়ী থানা ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিরা পদাধিকার বলে কমিটিতে ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক পাওয়ার কথা থাকলেও তাদের সে পদ দেওয়া হয়নি।  

থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া ভুঁইয়াকে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক না করে করা হয়েছে সোহেল রানাকে। যুব বিষয়ক সম্পাদক থানা যুবদলের সভাপতি শহিদুর রহমান স্বপনকে না করে করা হয়েছে যুবদলের আশরাফ ভুঁইয়াকে। স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সালাহউদ্দিন সালুকে না করে করা হয়েছে জলিল মিয়াকে।  

পদাধিকার বলে সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবকে এসব পদে পদায়ন না করে তাদের নিচের সারির নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে এখানে। মূলত থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের আজ্ঞাবহ হওয়ায় অপেক্ষাকৃত নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাদের পদায়ন করা হয় এসব পদে।  

অপরদিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে সব কর্মসূচিতে সক্রিয় থেকেও নিয়ম অনুযায়ী পদ পাননি অনেকে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের মধ্যে।

এ ছাড়াও অনেক অযোগ্যদের পদায়ন করে যোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মান্নান ও মোশারফের অনুগতদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

বিষয়টি জানতে থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আমাদের কাছে প্রস্তাবনা আসার পর আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। তারা দলের দলের থানার কমিটিতে আছে। এখন থানা কমিটি মনে করেছে তাদের কাছ থেকে সাড়া সহায়তা পাবে তাই তাদের পদায়ন করা হয়েছে। তারা তো দলই করে, এখানে সমস্যা তো দেখি না।

কমিটির বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বলেছে এরই মধ্যে। আমরা এটি তাদের কাছে জানতে চাইবো। এ কমিটি তো আমাদের অনুমোদিত নয়, তাই যারা অনুমোদন দিয়েছে তারা ভালো বলতে পারবে কমিটির অসঙ্গতির বিষয়ে। তবে আমরা অভিযোগগুলো যাচাই করবো এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।