খুলনা: সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি বুধবার খুলনায় গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। গণঅবস্থানের অনুমতি চেয়ে গত শনিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করেছে দলটির নেতারা।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ১১ জানুয়ারি খুলনায় বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ও পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
এদিকে গণঅবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা মিশকাতকে গ্রেফতার এবং অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা পুলিশকে হয়রানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শফিকুল আলম তুহিন জানান, বুধবার বেলা ১১টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে, শেষ হবে বিকেল তিনটায়। গণঅবস্থানের জন্য নগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর ও দলীয় কার্যালয় চত্বর ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে কেএমপিতে আবেদন করা হয়েছে। দলের একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি যোগ দেবেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কর্মসূচি বানচাল করতে বরাবরের মতো পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের কমিটির হয়রানি করছে। বিশেষ করে খুলনার পুলিশের কিছু কর্মকর্তা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। পুলিশের ভয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু, বিএনপি নেতা খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, মজিবুর রহমান, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবির, একরামুল কবির মিলটনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএ