ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দিনের ভোট রাতে হওয়া চলবে না: মঈন খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
দিনের ভোট রাতে হওয়া চলবে না: মঈন খান

ঢাকা: এদেশে দিনের ভোট দিনেই হতে হবে। দিনের ভোট আগের রাতে হওয়া চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, আমরা যার ভোট, সে দেব। বর্তমান সরকার একসময় বলতো, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। মজার বিষয় হচ্ছে আগে যারা একথা বলেছিল, তারা আজকে কী করছে? তারা আজকে বলছে, আমার ভোট আমি দেব, দিনের ভোট রাতে দেব।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্লবী থানার সিরামিক গেট সংলগ্ন ত-ব্লক মোড়ে পদযাত্রা পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পিকআপ ভ্যানে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পদযাত্রাটা ত-ব্লকের মোড় থেকে শুরু হয়ে এভিনিউ-৫ বটতলা মোড়ে শেষ হয়।

আব্দুল মঈন খান বলেন, এদেশে দিনের ভোট রাতে হয়। তাহলে বর্তমানে যে অত্যাচারী সরকার রয়েছে, তার কোনদিন পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি প্রত্যেকটিই শান্তিপূর্ণ। আমরা আইনের শাসন, নিয়ম-নীতি ও শৃঙ্খলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতার পরিবর্তন আসুক।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নেই। আপনারা দেখেছেন আমরা বেশ কিছুদিন আগে গণসমাবেশ করেছি। সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। সেখানে শুধু বিএনপির মানুষ ছিল না, গণমানুষও সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে গণমিছিলে তাদের রায় প্রকাশ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এখানে পদযাত্রা করতে এসেছি।

মঈন খান বলেন, সরকার মেগা উন্নয়নের নামে যেটা করেছে সেটা হচ্ছে মেগা দুর্নীতি। তারা এ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দিয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বাজারে প্রতিটা পণ্যের দাম বেড়েছে। গত তিন মাসে বিদ্যুতের দাম তিনবার বাড়ানো হয়েছে।

এই সরকার গত ১৫ বছরে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে ১৫ বার। কেন বাড়াতে হচ্ছে বিদ্যুতের দাম? কুইক রেন্টালের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দিয়েছে। মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। কেন বাড়াচ্ছে? বিদ্যুতের নামে তারা যে দুর্নীতি করেছে তার ফলশ্রুতিতে আজকের সরকারের কোষাগার শূন্য।

তিনি বলেন, এদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের শাসন কায়েম করব আমরা। দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হবে। এদেশের মানুষ যাকে ভোট দেবে, তারা পরবর্তীতে এদেশের সরকার গঠন করবে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) সসম্মানে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। এই পার্লামেন্ট ভেঙে দিন। নতুন করে একটি কেয়ারটেকার সরকার ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ করবে। আগামী শনিবার (১১ মার্চ) আমারা ১০ দফা দাবিতে জেলা ও মহানগর পর্যায় সারাদেশে মানববন্ধন করব।

পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য মেহেরুন নেসা হক, পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।