ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
বিএনপি নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

ঢাকা: পঞ্চগড়ের ঘটনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড কোনো উসকানি কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটিই জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এ সন্দেহের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পঞ্চগড়ের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা উসকানি দিয়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের (বিএনপি) নেতাও আছে। তাদের আন্দোলনে ভাটা নেমেছে। সে কারণে তারা এখন নাশকতার দিকে যাচ্ছে? 

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগলো কেন? একইসঙ্গে ঘটনাগুলো কেন? সব দোষ আওয়ামী লীগের? ওখানে অক্সিজেনে বিস্ফোরণ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। দোষ কার? চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের দোষ আওয়ামী লীগের? 

তিনি আরও বলেন, এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন, তাতে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বেশি গরম পড়লে বলবেন আওয়ামী লীগের দোষ। তার পরে বলবেন যে, বাংলাদেশে বজ্রপাতে এতো লোক মরল কেন, এটাও দোষ আওয়ামী লীগের।  

কাদের বলেন, এখন সর্বশেষ আমি যতটুকু জানি, যতটুকু রাজনীতি বুঝি, বিএনপির একটা লক্ষ্য হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন আসলে ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। তাদের গণবিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থান নেমে এসেছে নীরব পদযাত্রায়। এখন নীরব পদযাত্রা থেকে তাদের আন্দোলন নেমে এসেছে নিঃশব্দ মানববন্ধনে। তারা আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিএনপির আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখার কিছুই নেই।  

বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার জন্য ব্যাক ডোরে কোনো কথা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যা করি প্রকাশ্যে। ব্যাক ডোরে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। গণতন্ত্রে ব্যাক ডোরে আলোচনা করা যায় না, গণতন্ত্র প্রকাশ্যে আলোচনার জায়গায়। আলোচনা হলে প্রকাশ্যে হবে, আমার দরকার হলে আমি ফখরুল সাহেবকে প্রকাশ্যে ফোন করব যে আসুন আলোচনা করি। তার যদি দরকার হয়, তিনি আমাকে বলতে পারেন।  

আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমি এখনও দেখতে পাচ্ছি না।  

এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে এ অবস্থা দেশে প্রথম নয়। কালো মেঘ জমেছে আকাশে, আবার এ মেঘ কেটেও গেছে। এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, কখন কী হবে। আমি আশাবাদী মানুষ। মনে করি, এ সংকট কেটে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেব না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবে বাংলাদেশে হবে। আমরা কারো সঙ্গে আলোচনার জন্য ভাবছি না।

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে সংকট, সেটা বাংলাদেশেও আছে। অবশ্যই এটি চিন্তার বিষয়। সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সরকারের আন্তরিকতার ওপর জনগণের আস্থা আছে। দেশে কোনো প্রকার গণআন্দোলন সৃষ্টি হওয়ার বস্তুগত পরিস্থিতি নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।