ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় ৪২ জন কারাগারে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় ৪২ জন কারাগারে

রংপুর: রংপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১১ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তানভীর আহমেদ জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রংপুরের কাউনিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়ার জেরে সোনা মিয়া (৫৫) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আসামিরা হলেন- টেপামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম, কাউনিয়া কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ আবু ফেরদৌস হীরা, কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেলিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মিলন, ফারুক ও ইউসুফ, শহীদবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও কাউনিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমসহ অন্যরা।

এর আগে ৫ জুন এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৪২ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানালে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

স্থানীয় ও মামলা সূত্র জানায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামা হাট এলাকায় ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি মাঠে উপস্থিত হতেই নেতাকর্মীরা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার নামে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে স্লোগান দেওয়া নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গাড়ি থেকে না নেমেই চলে যান। বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান (২৯) বাদী হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।