ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

এটাকে বলে ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’: গয়েশ্বর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এটাকে বলে ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’: গয়েশ্বর

ঢাকা: গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি কার্যালয়ে আপ্যায়নকে ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তার মতে, শনিবারের ওই আপ্যায়নের ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক।

 

ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবিপ্রধানের এই আপ্যায়নকে তামাশাপূর্ণ নাটক বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।  

এর আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।  

সাক্ষাৎ শেষে ফখরুল চলে গেলে সাংবাদিকদের গয়েশ্বর বলেন, আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড। যারা এ কাজটি করেছে এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচায়ক, এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কী সরকার প্রমাণ করতে চায় যে আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? এটাকে গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ঐরকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময়ে অনেক লোক খায়।

এ বিএনপি নেতা জানান, ডিবির কার্যালয়ে তার জন্য হোটেল সোনারগাঁও থেকে আনা খাবার মুখে নেননি তিনি। সে খাবার না খেয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন।

এমনটি করার কারণ বলতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ওই খাবার আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। এ ছাড়া এই খাবার নিয়ে সন্দেহও ছিল। সে কারণে আর ওই খাবার গ্রহণ করেনি। ডিবিপ্রধান হারুনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সৌজন্য রক্ষায় তার জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ডিবিপ্রধান আমাকে অনুরোধ করেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবিপ্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো- এটা যদি গ্রহণ করি তাহলে সমস্যা হবে না।

প্রসঙ্গত, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেরাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হন।

চিকিৎসাসেবা দিতে আহত গয়েশ্বরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।  

বিকেল ৩টার দিকে সেখানে গয়েশ্বরকে আপ্যায়ন করা হয়। তার সঙ্গে বসে খাবার খান ডিবিপ্রধান হারন অর রশীদও।  

এরপর একটি গাড়িতে করে তাকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।