ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

গণমাধ্যমে বিভাজন দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছে: সরোয়ার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
গণমাধ্যমে বিভাজন দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছে: সরোয়ার কথা বলছেন অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার

বরিশাল: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনীতিবিদরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে।

দেশ সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এখন যতখানি প্রয়োজন ততখানি সংস্কার তারা করবে, আর যদি বাকি থাকে, তাহলে সেগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। ফলে স্বচ্ছ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।  

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বরিশাল সিটি মেয়র সরোয়ার বলেন, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক হাত-ধরাধরি করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের যেকোনো বড় ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে ঐক্য থাকার বিকল্প নেই। আর গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ মনে করে তাদের এগিয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যম ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিগত দিনে গণমাধ্যমে বিভাজন দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছে।  

বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহসহ গণমাধ্যমকর্মী ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে সাবেক এমপি বলেন, বিগত তিনবারে দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এবার তারা ভোট দিতে চায়।  আর এজন্য মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চায়। এখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় তাই এই সরকারকে করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে মানুষ একজন ভালো ব্যক্তিতে তাদের সেবার জন্য নিয়োজিত করতে পারে।  

তিনি বলেন, সেই ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে দেশে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। তবে দেশ স্বাধীনের পর ছাত্র জনতার এ আন্দোলন আমাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে। ছাত্ররা অনেক মেধাবী তাই আমি বিশ্বাস করি কোন কাজটি আগে করতে হবে তারা সেটি ভালোভাবে বুঝে।  আর শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদসহ সবাই মিলেই দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সবার ভেতরে মানবিকতার বিষয়টি ফিরিয়ে আনতে হবে, বিশেষ করে পুলিশের ভেতরে। আমার যেটা মনে হয় বিগত দিনে তাদের মানবিকতার বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই করা হয়নি। গুলির প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আর বলা হয়েছে জনতাবদ্ধ হলেই গুলি করে দিতে। নইলে পরীক্ষা দিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপরও গুলি চালাবে কেন? কিন্তু বিগত দিনে তো দেখেছি পুলিশ মানুষকে বোঝায় তারপরও না হলে হাটুর নিচে গুলি করে। এটার পরিবর্তন প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
এমএস/এএটি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।