রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে বাকি তিনজন হলেন-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম রাশেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল ইসলাম জিসান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চারজনকে তাদের নিজ নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ বহিষ্কার করা হলো। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। তাদের সঙ্গে কারো কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বহিষ্কৃত নাদিয়া পাঠান পাপন সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। কাউন্সিলের আগে তফসিলে লেখা ছিল যারা ১০ ভাগ ভোট না পাবে তারা কমিটিতে আসতে পারবে না। কিন্তু এমন অনেককে কমিটিতে রাখা হয়েছে যারা একটি ভোটও পায়নি।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে কোথাও লেখা নেই যে বিবাহিতরা কমিটিতে থাকতে পারবে না। আমি এর আগে দু’টি কমিটিতে ছিলাম, তখনও আমি বিবাহিত ছিলাম। এবার আমাকে রাখা হয়নি।
পাপন বলেন, কাউন্সিলের আগে বলা হয়েছিল ২০০০ সালের আগে এসএসসি পাস হলে কমিটিতে থাকতে পারবে না। কিন্তু এ কমিটিতে ১৯৯৯ সালে পাস করেও স্থান পেয়েছে। এমনকি ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ১৯৯৮ সালে এসএসসি পাস করেছেন। তাকে কীভাবে ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/