ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৪ জুন ২০২৪, ২৬ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

সার্চ কমিটিতে যারা নাম দিয়েছেন ইতিহাসে তারা কালো তালিকায় থাকবেন 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
সার্চ কমিটিতে যারা নাম দিয়েছেন ইতিহাসে তারা কালো তালিকায় থাকবেন 

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই যারা সার্চ কমিটিতে নাম দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম কালো তালিকা হয়ে থাকবে।  

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃর্শত মুক্তি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ।

আব্দুস সালাম বলেন, যারা পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হতে চাচ্ছেন আমরা বারবার বলেছি আমরা সবাইকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপনারা কোনো কাজ করতে পারবেন না।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চেয়ারে বহাল থাকেন, এ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকেন, সব মন্ত্রী থাকেন তাহলে আপনারা নির্বাচন কমিশনে বসে কি করবেন? নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন? কোনোভাবে সম্ভব না। তাই এখনো সময় আছে। আমরা চাই, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আল্লাহর ওয়াস্তে কমিশনার হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে স্বেচ্ছায় আপনারা নাম প্রত্যাহার করবেন। যদি দেশকে ভালোবাসেন দেশের মানুষকে ভালোবাসেন।  

তিনি বলেন, আজকে কথায় কথায় বিএনপির কথা বলেন, খালেদা জিয়ার কথা বলেন।  খালেদা জিয়ার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেছে। আপনারা খালেদা জিয়ার কাছাকাছিও যেতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ৯৬-এর, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা বলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও সেই সময় খালেদা জিয়া ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য, তার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়েছিল। যদি আপনাদের মতো খালেদা জিয়া তখন ক্ষমতা না ছাড়তেন তাহলে কি করতেন? আপনারা যেভাবে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আছেন খালেদা জিয়াও সেভাবে থাকতে পারতেন। কিন্তু খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। এ কারণেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। আপনারা তো ছাড়তে পারলেন না। ২০১৪ সালে আপনারা তো বলেছিলেন দরকার হয় আরেকটা নির্বাচন দেবো। কই আপনারা তো ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি।


তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। একটাই কারণ, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা সরকার ভয় পায়। খালেদা জিয়া বাইরে এলে লাখ লাখ মানুষ বের হলে তো তাদের গদি শেষ। তাই সরকার যত কিছুই করুক না কেন এবারের নির্বাচন আর পার হতে পারবে না।  

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন টুয়েল, কৃষক দলের সাবেক নেতা মিয়া মো. আনোয়ার, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।