ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দীতেও অন্ধকার দূর হয়নি: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দীতেও অন্ধকার দূর হয়নি: মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পার হলেও জাতীয় জীবন থেকে অন্ধকার দূর হয়নি। চারদিকে এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শনিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পার হলেও জাতীয় জীবন থেকে দূর হয়নি অন্ধকার। চারদিকে এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্ত গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের এক গৌরবোজ্জ্বল মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এ বছরও আমরা মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। সূবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। কামনা করি তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। ’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে- যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সব জাতীয় নেতার প্রতি, যাঁরা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। ’

তিনি বলেন, ‘অজস্র রক্তধারায় স্নাত মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেই গণতন্ত্র এখন লাশে পরিণত হয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসনে। ’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দী করে মূলত: গণতন্ত্রই আজ বন্দী। স্বাধীনতার সব অর্জনকে মুছে দিয়ে অমানবিক দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে জনগণকে কণ্ঠরুদ্ধ করার জন্য নানা কালাকানুন, গুম, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যার অমানবিক নিষ্ঠুরতার সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।