ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

সালতামামি

গেল বছরে ৩৬১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৪
গেল বছরে ৩৬১ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে বিদায় বছর ২০১৩ সালে ৩৬১ কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

উড়োজাহাজের  টয়লেটের কমোড থেকে শুরু করে যাত্রীদের সাবানের প্যাকেটেও উদ্ধার হয়েছে স্বর্ণের বার ।

এছাড়া কম্পিউটারসহ  বিভিন্ন পণ্য আমদানির নামে স্বর্ণের বার এনেছিলো চোরাকারবারীরা ।

বিমানবন্দর কাস্টম সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে মূলত স্বর্ণের চালান বেশি ধরা পড়তে থাকে। বছর জুড়ে ছোট-বড় ২৬টি চালানে ৩৬১ দশমিক ২৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এসব  উদ্ধার ‍অভিযানে ৮টি বড় চালানে  ২৮৭ কেজি ও ১৮টি চালানে ৬৮ কেজি স্বর্ণ  উদ্ধার করা হয়েছে।

স্বর্ণের বড় চালানগুলোর মধ্যে- ৬ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি–০৪৪)এয়ারক্রাফটের এ-১৬ যাত্রী সিটের নিচে বিশেষ অবস্থায় লুকানো ২৫ কেজি ৩১০গ্রাম ওজনের ৮কোটি ৮৯লাখ ৬৭ হাজার টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিমানবন্দর কাস্টম।

সূত্র আরও জানায়, ২৪ জুলাই দুপুরে  কাঠমন্ডু থেকে আসা বিমানের (বিজি-০৭২) এয়ারক্রাফটের লাগেজ চেম্বারে লুকানো অবস্থায় ১৫টি পৃথক ব্যাগে ১হাজার ৬৪ পিছ ১০ তোলা ওজনের স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিমান বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যার আনুমানিক মূল্যে ৫৩  কোটি ২০ লাখ  টাকা।

৩০ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাষ্কাট থেকে আসা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের যাত্রীবাহী র‌্যাম কোচের একটি ব্যাগ থেকে ১৫৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১৮ কেজি ।

২২ অক্টোবর দুবাই থেকে আসা ফ্লাইদুবাইয়ের একটি উড়োজাহাজের ওয়াটার বক্স থেকে ৩২ কেজি ওজনের ২৮০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

১২ নভেম্বর কাতার এয়ার এয়ারলাইন্সের (কিউআর- ৬৩৪) উড়োজাহাজের যাত্রী আসন ও ওভারহেড লকারের ভিতর লুকানো অবস্থায় ৩৭ কেজি ওজনের ৩২০টি স্বর্ণের বার আটক করা হয়।  
২৯ অক্টোবর  হংকং থেকে আসা বিমানের (বিজি-০৭৯) এয়ারক্রাফটের বাথরুমের কমোড থেকে ১৭ কেজি ওজনের ১৪৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

২৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের (আরএক্স-৭৮৩)এয়ারক্রাফটের পেছনে টয়লেট বিন বক্সের মধ্যে সেলাই করা ৮টি পৃথক ব্যাগে ১৮ কেজি ওজনের ১৬০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
 
এর আট দিনের ব্যবধানে একই এয়ারলাইন্সের টয়লেটের লুকিং গ্লাসের পিছনে ৩টি ব্যাগে ১৩কেজি ওজনের ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

এতো বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ এর আগে কখনও ধরা পড়েনি বলেও জানায় বিমান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

তবে স্বর্ণ ধরা পড়লেও বাইরে থেকে গিয়েছে স্বর্ণ চোরাচালনের সঙ্গে জড়িতরা।

কাস্টমসের আইনি সীমাবন্ধতার কারণে তারা তাদের বিভাগীয় মামলা ছাড়া ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে পারেনি। এছাড়া স্বর্ণের সঙ্গে কাউকে আটক করতে না পারায় তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

বিমান বন্দর কাস্টমসের কমিশনার জাকিয়া সুলতানা বাংলানউজকে বলেন, কাস্টম’র ব্যাগেজ রুল বা তার নিজস্ব আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তবে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনা তদন্তে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চোরাচালানের সঙ্গে কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১,  ২০১৪
সম্পাদনায়: মিলিতা বাড়ৈ, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।