ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালতামামি

সালতামামি

১৯ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, উৎপাদন ২২৯১ মেগাওয়াট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
১৯ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, উৎপাদন ২২৯১ মেগাওয়াট

ঢাকা: সময়ের নিয়মেই ২০১৯ সাল প্রায় শেষ। কয়েকটি সূর্যোদয়ের পরেই হাতছানি দিচ্ছে ২০২০ সাল। নানা ঘটনাবহুল ২০১৯ সালে দেশের বিদ্যুৎক্ষেত্র ছিল আলোচনায়। এ বছর মোট ১৯টি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে দুই হাজার ২৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) ২০১৯ সালের বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নের চিত্র বিশ্লেষণ করে এতথ্য জানা যায়।     

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার (তৃতীয় ইউনিট) গ্যাস ও হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথম চালু হয়।

এখান থেকে ৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বিপিডিবি নির্মিত বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট (তৃতীয় ইউনিট) বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যায়। গ্যাসভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছে।  

১৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উদ্যোগে বাঘাবাড়ি ২০০ মেগাওয়াট এইচএসডিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এ কেন্দ্র থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে জামালপুর ইউনাইটেড পাওয়ায়ের স্পন্সরে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এখান থেকে ১১৫ মেগাওয়াট উৎপাদনে রয়েছে। ৩০ মার্চ বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে বগুড়াতে ১১৩ মেগাওয়াট (ইউনিট-২) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়।  

হেভি ফুয়েল অয়েল (এইচএফও) এ কেন্দ্র থেকে ১১৩ মেগাওয়াট উৎপাদনে রয়েছে। ৯ এপ্রিল বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে সিরাজগঞ্জে ৪০০ (±১০) মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ উৎপাদনে যায়। গ্যাস ও এইচএসডিভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে ১৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে আমাদের মোট উৎপাদনে। ১৫ এপ্রিল উদ্বোধনকৃত এনডব্লিউপিজিসিএল বাগেরহাটের মধুমতিতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।  

২৪ মে বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে চালু হওয়া শিকলবাহায় ১০৫ মেগাওয়াট এইচএফও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২৫ মে চালু হয় গাজীপুরে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের এইচএফও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখান থেকে ১০৫ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। ২৮ মে বিপিডিবি উদ্যোগে চালু হওয়া কাপ্তাই সোলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে সাত মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। ২২ জুন বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়। এ কেন্দ্র থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।  

২৩ জুলাই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার মাঝিপাড়ায় বেসরকারিভাবে বিউবো নির্মিত সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আট মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ১২ আগস্ট রংপুরে বিউবোর উদ্যোগে বেসরকারিভাবে চালু হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০ আগস্ট উদ্বোধন হওয়া বেসরকারিভাবে স্থাপিত বিউবোর উদ্যোগে চট্টগ্রামের শিকলবাহায় ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১১০ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছে।  

৩১ আগস্ট শিকলবাহা বেসরকারিভাবে বিউবো নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ৯ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) কর্তৃক চালু হওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে ১১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।  

২৪ সেপ্টেম্বর উৎপাদনে যাওয়া বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক (তৃতীয় ইউনিট) বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ১৭ নভেম্বর বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে উৎপাদনে যাওয়া বগুড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র (ইউনিট-১) থেকে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। ২৪ নভেম্বর বেসরকারিভাবে বিউবোর উদ্যোগে শুরু হওয়া ফেনী ১১৪ মেগাওয়াট এইচএফও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১১৪ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে।      
    
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালে নতুন স্থাপন করা ১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ২৯১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৭ লাখ, বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ৫ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
আরকেআর/আরবি/
  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।