সাতক্ষীরা: রাতেও চলছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের সুন্দরবন সংলগ্ন চুনকুড়ি নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ। তীব্র ভাঙনে সেখানে বাঁধের আর মাত্র কয়েক ইঞ্চি অবশিষ্ট আছে, যা নিমিষেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে প্লাবিত হতে পারে গোটা এলাকা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয়রা জানান, অমাবস্যার দিনের জোয়ারের চেয়ে রাতের জোয়ারে নদীর পানি বেশি বৃদ্ধি পায়, তাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা।
এদিকে ভাঙনকবলিত বাঁধ মেরামতের আর কোন সম্ভাবনা অবশিষ্ট না থাকায় রিং বাঁধ দিয়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সেটিতেও খুব ধীরগতি।
ধসে যাওয়া বাঁধের পাশে বসবাসকারী জগদীশ মন্ডল বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে আমার বাড়ির সামনে বাঁধের এই অংশে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু শুরু থেকে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে আকস্মিকভাবে ৬০ থেকে ৭০ ফুট জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দিনের জোয়ার ছাড়া রাতের জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পাবে নদীতে। সে সময় কি হবে সৃষ্টিকর্তা জানে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করার ফলে ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এজন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দােষারোপ করেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাতক্ষীরা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করায় রিং বাঁধের কাজ শুরু করা হয়েছে।