ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩২, ০৬ মে ২০২৫, ০৮ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

অল্প খরচে হজ করানোর কথা বলে প্রতারণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৫, মে ৫, ২০২৫
অল্প খরচে হজ করানোর কথা বলে প্রতারণা আবু হুরাইরা ও নোমান

যশোর: অল্প খরচে পবিত্র হজ পালন করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যশোরের বেশ কয়েকজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দুইজন প্রতারক। বর্তমানে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

প্রতারণার শিকার দুজন যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অন্তত ১২জন ধর্মপ্রাণ মানুষকে হজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঠকিয়েছে ওই দুই প্রতারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন। প্রতারকরা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরের মৃত মইন উদ্দীনের ছেলে আবু হুরাইরা এবং খাজুরা দুর্গাপুরের নোমান আলী।

যশোর জিলা স্কুল মসজিদের ইমাম আশরাফ আলী গত শনিবার (৩ মে) থানায় দায়ের করা এক অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, স্মার্ট ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে আবু হুরাইরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় তার সঙ্গে আর এক প্রতারক নোমান আলীও ছিলেন। তারা আশরাফ আলীকে কম খরচে স্বাচ্ছন্দ্যে পবিত্র হজ পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। এদের কথার ছলে আশরাফ আলী তাদের পাঁচ লাখ দশ হাজার টাকা দেন হজ করার জন্য।

আশরাফ আলী জানান, টাকা দেওয়ার সময় যশোর জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক সোয়েব আহম্মেদসহ গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর আবু হুরাইরা ইমাম আশরাফ আলীকে জানান যে, তার অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, মেডিকেল এবং বিমানের টিকিটও কনফার্ম হয়েছে। কিন্তু, দেশ থেকে হজযাত্রা শুরু হলে আবু হুরাইরার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের ব্যাপারে জানতে চান আশরাফ আলী। এ পর্যায়ে বাড়তি আরও দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন হুরাইরা। তাও দিতে রাজি হন আশরাফ আলী। কিন্তু, এরপর থেকে আবু হুরাইরার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

একইভাবে প্রতারণার শিকার মন্ডলগাতী মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম আশরাফ আলী কোতোয়ালি থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন। এতেও ওই দুই ব্যক্তির দ্বারা তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়। জানা যায় তারা ১০/১২জন মানুষের কাছ থেকে পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা করে বাগিয়ে নিয়েছেন। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হজ পালনে নিয়োজিত একটি এজেন্সির একজন কর্মকর্তার কাছে স্মার্ট ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পরিচয় গোপন করার শর্তে বলেন, এ ধরনের প্রায় সাড়ে তিন হাজার এজেন্সি আছে দেশে। যাদের বেশিরভাগই নীতিহীন কাজের সঙ্গে যুক্ত।

ফলে, যারা পবিত্র হজব্রত পালন করতে চান তাদের সঠিকভাবে খোঁজখবর নিয়ে আর্থিক লেনদেন করার পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ ডকুমেন্ট রাখারও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।