মাগুরা: মাগুরায় থ্যালাসেমিয়া সমিতির হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় আছিয়া খাতুন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মিলনায়তনে একদিনের এ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের উপদেষ্টা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখ্ত, থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. একরাম হোসেন, ডা. কবিরুল ইসলাম, মাগুরা জেলা থ্যালাসেমিয়া সমিতির সভাপতি প্রকাশ বিশ্বাসসহ অনেকে।
থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত মাগুরা জেলার ৩১ রোগী এ ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। এ রোগে রক্তের হিমোগ্লোবিনের গঠন নির্ধারণকারী জিন ত্রুটিযুক্ত হয়। শরীর আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বাবা ও মা দুজনই যদি থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হন, শুধু তখনই তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণের ঝুঁকিতে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর একজন বাহক, কিন্তু অন্যজন বাহক না হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের উপদেষ্টা সৈয়দ দিদার বখ্ত বলেন, বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবছর এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে মাগুরায় প্রায় ২৫০ জন এ রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিকভাবে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সমাজে যেন আর একজন মানুষও এ প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত না হয়।
এ বিষয়ে ডাক্তার কবির হোসেন বলেন, আমাদের দেশে উদ্বেগজনকভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মাগুরায়ও এর ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে। আজ মাগুরায় ৩১ জন রোগীকে নিখরচায় চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে বড়রাও রয়েছেন তাদের মধ্যে। এ ধরনের রোগীকে সারাজীবন ভুগতে হয়। মাসে মাসে রক্ত নেওয়া ছাড়াও নিতে হয় অন্যান্য অনেক চিকিৎসা, যা অনেকের কাছে ব্যয়বহুল। তবে একটু সচেতন হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পরে মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের আলোচনায় থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এসআই