কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম কম-বেশি প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠে গেছে স্থলবন্দর এলাকায়।
রোববার (০১ জুন) দুপুরের পর থেকে পানির প্রবাহ বাড়তে থাকে।
এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেইসঙ্গে ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী নিম্ন এলাকায় আকস্মিক পানি বাড়তে শুরু করে। স্থলবন্দর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল দিয়ে সকাল থেকে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি হু হু করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে করে দক্ষিণ ইউনিয়নের আখাউড়া-আগরতলা সড়কের দুপাশের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, রহিমপুর, সাহেবনগর, মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া উমেদপুর, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকি, ইটনা, কর্নেলবাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, শনিবার রাত থেকে বন্দরের আশপাশে পানি বাড়তে থাকে। পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, 'হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিক গতিতেই বয়ে যাচ্ছে। এখনও বিপৎসীমা পার করেনি। এছাড়া কোথাও বাঁধ ভাঙার খবরও পাওয়া যায় নি। '
আরএ