গুলিকেও ভয় পায় না জেলেরা। গুলি উপেক্ষা করে হামলার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, নিয়মিত অভিযানে অংশ হিসেবে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইনসহ তিনটি স্পিড বোট নিয়ে নদীতে অভিযান পরিচালন করতে যান। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কালাবদর নদীতে একটি নৌকা থেকে জাল ফেলতে দেখেন। তাকে ধাওয়া দিলে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় জেলেরা। সেখানে গিয়ে নদীতে ফেলা জাল উত্তোলনের সময় ৭/৮টি নৌকায় ৫০/৬০ জন জেলে লাঠিসোঁটা ও ইট নিয়ে চড়াও হয়। হামলাকারীরা বেপরোয়াভাবে ইট নিক্ষেপ শুরু করে। নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে ও লাঠির পিটুনিতে স্পিডবোটের চালক মামুন আহত হয়। তখন আত্মরক্ষার জন্য সাথে থাকা ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও দুই রাউন্ড সিসা বুলেট ব্যবহার করেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলেরা এতটাই বেপরোয়া ছিল। গুলি করার পরেও তার একটুও ভয় পায়নি। গুলির মধ্যেও অভিযানিক স্পিডবোটের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ সময় গুলিতে হামলাকারী কয়েকজন আহত হয়। তখন তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়েছি, একজন মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে গিয়েছে। প্রকৃত কতজন হামলাকারী আহত হয়েছে বলতে পারবো না।
তিনি জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য দপ্তরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, হামলাকারী কাউকে চিনতে পারেনি। তাই এখন কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
এমএস/এএটি