নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা লেকপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে শহরের জিমখানা লেক ও আশেপাশের এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী।
গ্রেপ্তারা হলেন- আলম চাঁন (৩৫), পারভীন (৩৫) ও আমরিনা ওরফে হাসি (৫০)।
এ সময় অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৬০ পিস ইয়াবা, ২৫০ মিলি বিদেশি মদ, তিনটি বড় ছোরা, দুইটি লোহার পাইপ ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও মাদক সেবনের সময় ধরা পড়ায় জিমখানা রেলওয়ে কলোনির মোখলেছের ছেলে মো. ফয়সাল (২১) ও বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার মোহাম্মদ লিটনের ছেলে রিফাতকে (২০) ১২ দিন, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার মৃত মশাররফ ভূঁইয়ার ছেলে জুবায়ের ভূইয়া রানাকে (৩৬) ২০ দিন, জল্লারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল মজিদেরে ছেলে মো. মোস্তফা হোসেনকে (২৬) ১৪ দিন ও শহরের ডালপট্টি এলাকার মৃত চিত্তরঞ্জন নন্দীর ছেলে অভিনন্দীকে (৩০) সাত দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটক অন্য আসামিদের থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, আপনারা জানেন আমাদের নারায়ণগঞ্জে কিছু নির্দিষ্ট স্পট রয়েছে। সেখানে মাদকসেবীরা আড্ডা দেয় ও মাদক বিক্রি করে। আমরা সেসব স্পটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে আমরা ফতুল্লার একটি স্পটে অভিযান পরিচালনা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এ অভিযান।
তিনি বলেন, এখানে আলম চান নামে এক ব্যক্তি রয়েছে। তার নামে অসংখ্য মাদক মামলা রয়েছে। আজকে আমরা তাকে আটক করতে পেরেছি। তার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা, বিদেশি মদসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তার নামে মাদক মামলা দায়ের করা হবে, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও রয়েছে। এছাড়াও আমরা দুই নারী মাদক ব্যাবসায়ীকে ৬০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছি। এখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের ৭ দিন, ২ সপ্তাহ ও ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে যৌথ বাহিনী ছিল। এখানে সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ ছিল আমাদের থানার একটি টিম ছিল এবং ম্যাজিস্ট্রেট ছিল। আমাদের জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমরা নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করতে চাই। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আমরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় বেছে নেবো। সেখান থেকে আমরা অভিযান চালিয়ে এসব মাদকসেবীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
এমআরপি/আরআইএস