আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে লিওনেল মেসি। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে প্রায় নিশ্চিত করলেন মেজর লিগ সকার (এমএলএস)–এর গোল্ডেন বুট।
মৌসুমের শেষ দিনে মেসি নামেন ২৬ গোল নিয়ে, যা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির দেনিস বুয়াঙ্গার চেয়ে দুইটি বেশি। কিন্তু ম্যাচ শেষে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ২৯, অর্থাৎ ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল—অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো এমএলএস গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে তিনি। একই সঙ্গে আরেকটি এমভিপি (সেরা খেলোয়াড়) পুরস্কারের দাবিও পোক্ত করলেন।
প্রথমার্ধে কিছু ভালো সুযোগ নষ্ট করেছিল ন্যাশভিল। ৩৪ মিনিটে জর্দি আলবার পাস থেকে বল পেয়ে এক কাটে ডিফেন্ডারকে ছলনা করে মেসি বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন—পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ কার্ভে নিচের কোণে বল পাঠান তিনি।
কিন্তু ৪৩ মিনিটে স্যাম সারিজ হানি মুখতারের নিখুঁত ক্রসে হেডে সমতা ফেরান। ইনজুরি টাইমে জেকব শাফেলবার্গ মুখতারের শটে পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল ঠেলে দেন জালে—২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ন্যাশভিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে মায়ামি। ৬৩ মিনিটে মেসির পেনাল্টি থেকে সমতা—এটাই ছিল তার মৌসুমের প্রথম পেনাল্টি গোল। লুইস সুয়ারেজের শট হানি মুখতারের হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন, আর মেসি ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষক জো উইলিসকে ছলনা করে জালে পাঠান বল।
৬৭ মিনিটে বালতাসার রদ্রিগেস গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে নেন। এরপর ৮১ মিনিটে মেসি সম্পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক, ডিফেন্ডারদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে বাঁ পায়ের কার্ভে উইলিসকে পরাস্ত করেন আবারও। ইনজুরি টাইমে তেলাস্কো সেগোভিয়ার গোল মায়ামির জয় নিশ্চিত করে ৫–২ ব্যবধানে।
এই জয়ে ইন্টার মায়ামি পূর্বাঞ্চলে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে। প্লে–অফের প্রথম রাউন্ডে আবারও তাদের প্রতিপক্ষ হবে ন্যাশভিল এসসি।
এমএইচএম