ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ব্রাজিল সমর্থকরাও চান মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠুক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
কলকাতায় ব্রাজিল সমর্থকরাও চান মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠুক 

কলকাতা: ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। সারা পৃথিবীর নজর কাতারে।

 

একদিকে মেসি, অন্যদিকে এমবাপ্পে। গোটা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ চলছে বাংলা। একই পরিস্থিতি কলকাতায়ও।

আজ রাত ৯টায় বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।  

সেই মহারণকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কলকাতার নেতাজি নগরে লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। এই অঞ্চলের ৮ ওয়ার্ডে বাসিন্দারা একত্রিত হচ্ছেন জায়েন্ট স্ক্রিনের সামনে।  

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, স্থানীয়দের সঙ্গে ফুটাবল বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার জন্য শামিল হবেন পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

কলকাতায় আজ সর্বনিম্ম তাপমাত্র প্রায় ১৪ ডিগ্রির সেলসিয়াসের নিচে। তা স্বত্তেও ফুটবল ফ্যানদের উত্তেজনার পারদ তর তরা করে বাড়ছে। ইতিমধ্যে শহর কলকাতায় ফুটবল ভক্তরা ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছেন দুই শিবিরে।  

আর্জেন্টিনার সমর্থকদের প্রার্থনা মেসির বিদায় বেলায় বিশ্বকাপটা যেন তার হাতেই ওঠে। সঙ্গে থাকুক মাঠে মেসির ম্যাজিক।

অপরদিকে শহরে ব্রাজিল, জার্মানির মতো বহু দেশের সমর্থকরা বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ফ্রান্সকে সমর্থন করছেন। এছাড়া শহরে ফ্রান্সের নিজস্ব সমর্থকরা তো আছেনই। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল জ্বরে কাঁপছে গোটা শহর কলকাতা।

এই যেমন ফুটবল ভক্ত অরিন্দম সাহা। পেশায় ব্যাংক কর্মী। এমনিতে রোববারে ছুটি। অফিস যাওয়ার প্রশ্নই নেই।  
কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়িয়া থেকে নেতাজী নগর এসেছেন ফাইনাল দেখবেন বলে। তার মতে খেলার ফল যাই হোক, ছুটির দিনে ফাইনালটা উপভোগ করতে চাই।  

তার বন্ধু ব্রাজিল সমর্থক রাহুলে মতে, রেফারি আজ জিতিয়ে দেবে আর্জেন্টিনাকে। রাহুল বলেন, আমি আর্জেন্টিনা সমর্থক নই ;তা সত্ত্বেও চাই কাপটা মেসির হাতে উঠুক।

তবে কে হবেন বিশ্ব সেরা? মেসি না এমবাপ্পে। তা আর কয়েকঘন্টা পরেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে আজ সিংহভাগ শহরবাসী চাইছেন কাপটা যেন মেসির হতেই ওঠে। ফলে সবমিলিয়ে বড়দিনের আগেই বড়পর্দায়, বড়ম্যাচ দেখার তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা শহরজুড়ে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
ভিএস/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।