আগরতলা (ত্রিপুরা): শীতের মৌসুমি ফলের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কুল। শীতকাল এলেই বাজারে চলে আসে নানা জাতের কুল।
আগে ত্রিপুরা রাজ্যে স্থানীয় জাতের কুল ছাড়া হাইব্রিড কুল চাষের তেমন প্রচলন ছিল না। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের দৌলতে প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকার চাষিরাও আধুনিক কৃষির সব কথা জানতে পারেন। এর ফলে তাদের মধ্যে নতুন নতুন ফল ও সবজি চাষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এসব আগ্রহ থেকে তারা চাষবাসের আধুনিক জ্ঞান অর্জন করছেন। তারা এখন আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
তেমনই একজন ত্রিপুরার খোয়াই জেলার বাইশ ঘড়িয়া এলাকার কৃষক গোপাল পাল। তিনি ইউটিউবের মাধ্যমে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষের বিষয়ে জানতে পারেন। লাল টকটকে ফল দেখে চাষের আগ্রহ তৈরি হয় তার মধ্যে। পরে তিনি প্রায় আট মাস আগে অনলাইনে অর্ডার করে গৌহাটির একটি নার্সারি থেকে ৯০টি চারা সংগ্রহ করেন। বাড়ীর পাশের ৫ কাঠা জমিতে চারাগুলো রোপণ করেন। এতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার রুপি।
সম্প্রতি তার গাছ গুলিতে বেশ কিছু কুল ধরেছে। আর ১৫ থেকে ২০ দিন পর তার বাগানের আপেল কুল বাজারজাত করা সম্ভব হবে। এখন খুচরো বাজারে ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আপেল কুল। বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
তবে গাছ থেকে কুল সংগ্রহের পর ওজন করে বুঝতে পারবেন কেজি প্রতি কতটি কুলের প্রয়োজন। তখন মোটামুটি আন্দাজ করতে পারবেন এবছর কি পরিমাণ কুল পাওয়া যাবে তার বাগান থেকে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, প্রথম বছর তেমন সাফল্য না হলেও আগামী বছরগুলিতে আরও বেশি ফলন হবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
তবে তার অভিমত, আপেল কুল চাষের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এবং সময়মতো সঠিক ওষুধ না দেওয়ার ফলে ফলন আশানুরূপ হয়নি। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে যদি সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যেতো তাহলে ফলন আরও ভালো হতো। সঠিক পরিচর্যা ছাড়াই প্রথম বছর যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তাতে তিনি খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৩
এসসিএন/এসআইএ