কলকাতা: শেষ হলো লেখক প্রকাশকদের অপেক্ষা। সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল কলকাতা বইমেলা।
আন্দালিব বলেন, অত্যন্ত ভালো লাগছে। কলকাতায় যুক্ত হওয়ার পর এটাই আমার প্রথম বইমেলা। বহু শুনেছি, কিন্তু এবারই অংশ নেওয়া। সবচেয়ে আমার ভালো লাগছে, আমাদের উদ্বোধন হওয়ার অনেক আগেই কলকাতার বই প্রেমীদের ভিড় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। তারা বই কিনছেন, পড়ছেন -সব মিলিয়ে একটা আলাদা অনুভুতি। এ ধরনের ভিড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটতে ভালো লাগে। যখন চার পাশের সবাই বই পড়ছেন এবং বই কিনছেন।
তিনি আরও বলেন, কলকাতার বাঙালিরা বাংলাদেশকে অসম্ভব ভালোবাসেন। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতাটা আলাদা। এ ধরনের বইমেলার মধ্যদিয়ে আমাদের সঙ্গে তারা একই কাতারে দাঁড়াচ্ছেন। আমরা এবার বঙ্গভবনকে, কলকাতায় বাংলাদেশের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি। বাংলাদেশিদের যে সার্বভৌমত্য, বাংলাদেশিদের গর্ব তার প্রতীক হলো বঙ্গভবন। বাইরে তার একটা ইতিহাস লেখা আছে। যেটি পড়ে কলকাতাবাসীরা আরও চিনতে পারছে এবং আমাদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে। যে কারণে কলকাতা বইমেলা, আমার কাছে শুধু বইমেলা নয়, বাংলাদেশ চেনানোর অন্যতম স্থান।
একুশের বইমেলা নিয়ে তার অভিমত, ওটা বাঙালির আবেগের মেলা। আমাদের প্রাণের যাত্রা। আর কলকাতা বইমেলা আন্তর্জাতিক মেলা। জায়গা অনেক বড়, ২০টা দেশের বইয়ের আদান প্রদান। ফলে তফাৎ তো থাকবে।
প্রথমবার নদীয়া জেলা থেকে কলকাতা বইমেলা এসেছেন দেবার্ঘ। তার মতে, বইমেলা আমার প্রথমবার আসা। বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ান ঘুরলাম। হুমায়ুন আহমেদ কিনলাম। তার মতে বাংলাদেশের প্রকাশকদের মুদ্রণ বা প্রচ্ছদ এ সব বিষয় একজন পাঠক হিসেবে ভালো লেগেছে। ভীষণ মনগ্রাহী। শুধু দেবার্ঘ নয়, কলকাতাবাসী সব পাঠকের বাংলাদেশ বই নিয়ে এধরনের মত। আর সে কারণে বইমেলার কর্তৃপক্ষের অভিমত, এবারের বইমেলার থিমকান্ট্রি স্পেন হলেও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পাঠকদের আকর্ষণ সেই বাংলাদেশ। আর সে কারণে একইভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকেও।
এবারে ৪৬তম কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি স্পেন। রয়েছে ন'টি প্রবেশ দ্বার। তারমধ্যে একটি দ্বার স্পেনের তোলেদো গেটের আদলে হচ্ছে। স্পেন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার থিমকান্ট্রির মর্যাদা পেলো। এর আগে ২০০৬ সালে বইমেলার থিমকান্ট্রি হিসেবে স্পেন অংশগ্রহণ করেছিল।
কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। মেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের মন্ত্রী মারিয়া খোসে গালবেজ সালভাদর, বিশিষ্ট সাহিত্যি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়৷ কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রীবর্গ এবং স্পেন ও বাংলার কবি সাহিত্যিক গুনীজন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
ভিএস