হাঁপানি প্রবণ শহরগুলোর মধ্যে ভারতের দিল্লি, পাটনা, গোয়ালিয়র, রায়পুরে দূষণ সৃষ্টিকারী কণার পরিমাণ সব থেকে বেশি, যেগুলো মিশে রয়েছে বায়ুমণ্ডলে।
সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের প্রায় ২ কোটি মানুষের হাঁপানির সমস্যা আছে।
এর কারণ যেমন একদিকে নাসাপথের সমস্যা, ঠিক তেমনই দূষণ অপর একটি জোরালো কারণ। ধুলোবালি, ফুলের রেণু বা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে বা আবহাওয়া পরিবর্তন হলে তাদের মধ্যে অ্যালার্জি দেখা যায়। তা থেকে হাঁপানি হয়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শহরের সাথে সাথে গ্রামেও এই সমস্যা ডালপালা বিস্তার করেছে। অনেক ক্ষেত্রে বায়ুদূষণের ব্যাপারে সচেতন হওয়া, দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা আটকে রয়েছে শুধু শহরেই। গ্রামে প্রায় ৭০ কোটি নারী ও শিশু প্রতি দিন নানা ধরনের জৈবগ্যাস, কেরোসিন স্টোভের গ্যাস, কয়লার ধোঁয়া, শস্য জ্বালানির গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।
এই গ্যাসগুলোর মধ্যে আছে বেশ কিছু শারীরিক ক্ষতিকারক গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বেঞ্জিন। এসব গ্যাস শরীরে শরীরে প্রবেশ করার ফলে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে।
এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ধূমপান, স্থূলতাসহ জীবনযাপনের পদ্ধতিগত সমস্যা। চিকিৎসকরা মনে করছেন, এ রোগের নিরাময় সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। তবে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট সচেতন না হলে এই রোগ আরো বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসএস/