ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় মহাসাড়ম্বরে বিজয় উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
কলকাতায় মহাসাড়ম্বরে বিজয় উৎসব কলকাতায় বিজয় উৎসবের উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখছেন মোজাম্মেল হক

কলকাতা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম স্বাধীন পতাকা উত্তোলন হয় কলকাতায় উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সেখানেই মহাসাড়ম্বরে শুভ সূচনা হলো ৪৬তম বিজয় উৎসবের। প্রথম দিনেই কলকাতার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিপুল সাড়া ফেলেঠে বিজয় উৎসব।

পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের তৎকালীন সরকার যে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলো তা বাংলাদেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও কলকাতাবাসী অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবকিছুই পেয়েছে চরম মূল্য দিয়ে। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নতি করছে তা দেখে সবাই মুগ্ধ।

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বিজয় উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়াবলী উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো নিবিড় করা।  

হঠাৎ কাজ পড়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠানে অল্প সময় থেকে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাওয়ার আগে তার বক্তব্য নোটবন্দি করে যান।

বিজয় উৎসবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রায় ২০০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এ উৎসবে ১০টি স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যসামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে। এ সমস্ত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ঢাকাই জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, বুটিক, হস্তশিল্প সামগ্রী ও ফার্নিচার রয়েছে।

পাঁচ দিনব্যাপী জমজমাট আয়োজনের প্রথম দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, সমবেত সঙ্গীত, কলকাতাস্থ বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

এরপর বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অমৃতা দত্ত চমৎকার আধুনিক গান গেয়ে সবার মন জয় করেন। এছাড়াও কুষ্টিয়ার লালন পরিষদ লালন সঙ্গীত পরিবেশন করে। এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী সবুজ।  

পাঁচদিনের এই উৎসবে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আরও থাকছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কুমার বিশ্বজিৎ, এস ডি রুবেল, হৈমন্তী শুক্লা, কবির সুমন, শ্রীকান্ত। এছাড়া থাকছে গানের দল ‘জলের গান’।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।