ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

জামাল হোসেনের বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
জামাল হোসেনের বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয় কূটনীতিক জামাল হোসেনের কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ

কলকাতা: ‘কে বেশি পাগল কবি না কবিতা/ দরকার নেই সেই হিসেব নেবার/ ঘুমোয় বাউন্ডুলে, ঘুমোয় এবার।’ কবিরা আপন দেশেই থাকতে ভালোবাসেন। জগতের যেখানেই বিচরণ করুক না কেন কবি নিজের জন্য আলাদা জগৎ সৃজন করে নেন নিজের অজান্তেই। আর সেখানে থাকে তার কাঁটাতারহীন অবাধ বিচরণ। সেই বিচরণের ফলে সৃষ্টি হয় শিল্পের, তা পাঠককে করে মোহিত।

কবির নাম জামাল হোসেন। আসলে তিনি একজন কূটনীতিক।

বর্তমানে কলকাতস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর পদে নিযুক্ত। রাষ্ট্রীয় কাজে হাজার দায়িত্বের পালনের পরেও তিনি একজন কবি। কৈশর জীবন থেকে কবিতা লিখে চলেছেন। এবারেই প্রথম বইরূপে তার প্রকাশ। বইয়ের নাম ‘বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’।

৩০টি কবিতা সঙ্কলিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থটিতে। রচনা কর্মের পরিসর কবিতা ও চিত্রকলা। কবি ও চিত্রশিল্পী জামাল হোসেনের যুগল প্রয়াস পাঠককে আরও মনোনিবেশ করায়।  

‘বকপক্ষী’ এখানে শান্তি ও প্রগতির প্রতীক। প্রেম ও প্রকৃতি একসাথে বিরাজমান। ‘সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ এখানে অশুভ শক্তির প্রতীক। সাম্রাজ্যবাদ, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি; একই অশুভ সত্তার গর্ভজাত তিন ভাই যেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শাণিত চেতনা, দ্রোহের আগুনে ঝলসানো অনবদ্য সাহস ও দেশপ্রেমের গভীর বোধ উদ্ভাসিত জামাল হোসেন কবিতায়।

জামাল হোসেন একাধারে কবি ও চিত্রশিল্পী। জন্ম ১৯৭৩ সালে গোপালগঞ্জে শুক্তাইল গ্রামে। পেশায় কূটনীতিক। কর্মজীবনে বদলির চাকারির কারণে কলকাতা ছাড়াও যেতে হয়েছে বহু দেশের বহু শহরে। সেইসব শহরের ছাপ তার ছবি ও কবিতায় প্রতিফলিত। প্যারিসের শিল্প ও শৌর্য, চীনের বেইজিং, ঐতিহ্যের রোম, ইউরোপ ও আরবের মিথস্ক্রিয়া তার কবিতায় খেলা করে।  

মধুমতির স্নিগ্ধ জলধারায় স্নাত গোপালগঞ্জের শুক্তাইল। সবই যেন রমণীর ছবির মতো ধরা দিয়েছে কবির নির্মাণ সৃষ্টিতে। চড়কির মত জীবন তাকে প্রাণিত ও সমৃদ্ধ করেছে কবিতা ও চিত্রশিল্পীর যৌথ সৃজনে। স্ত্রী আবিদা হোসেন ও দুই পুত্র জাহিন ও রুহিন হোসেন এই তার সংসার।

‘বকপক্ষী ও সারমেয় ভ্রাতৃত্রয়’ কবিতার বইটির মূল প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী ফরিদি নোমান। প্রকাশক পাঠক সমাবেশ। এবার কলকাতার ৪২তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়। কলকাতায় বাংলাদেশ প্যাভিলিনে ও ঢাকায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাঠক সমাবেশের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।