কিন্তু সেই পেঁয়াজ এখনও এসে পৌঁছায়নি। রাজ্যে ঘাটতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টন করে পেঁয়াজ চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
চলমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এখনও ভর্তুকি দিয়ে কেজিপ্রতি ৫৯ রুপি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে সর্ব সাধারণের জন্য। বাজার দর না কমা পর্যন্ত এরকমই চলবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে কলকাতার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ রুপি দরে। তবে মহারাষ্ট্র থেকে আগের তুলনায় বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে। এই প্রবণতা আপাতত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা।
সেই কারণেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ রুপি করে কমেছে কলকাতার খুচরা বাজারে। তবে বিদেশ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানি করা পেঁয়াজ কলকাতার বাজারে পৌঁছালে দাম অনেকটাই কমতো। তখন দর নেমে আসতো ৬০ রুপিতে। এমটিই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে।
তবে দেশজুড়ে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ না আসলেও বসে নেই পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তারা তুরস্ক, আফগানিস্তান, মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে দিয়েছে। ফলে কলকাতার বাজারগুলোতে চলে এসছে বিদেশি পেঁয়াজ। তবে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে তুরস্ক থেকেই পেঁয়াজ আনা সম্ভব হযেছে।
কিন্তু তুরস্কের পেঁয়াজ আকারে অতিমাত্রায় বড়। বিদেশি ওই পেঁয়াজের এক একটির ওজনই ৪০০ গ্রাম কিংবা এরও বেশি। ফলে কলকাতার মধ্যবিত্তদের কাছে কদর নেই তুরস্কর পেঁয়াজের। মূলত এই আকারের পেঁয়াজ কিনছে হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো।
টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মিশর, আফগানিস্তানের পেঁয়াজও আরও কিছুদিন পর রাজ্যে এসে পৌঁছালেও তা দিয়ে বেশিদিন সামাল দেওয়া যাবে না।
‘তবে খুশির খবর হলো, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজ পাঠানোর পরিমাণ সামান্য হলেও বেড়েছে। তাই দাম কিছুটা কমেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
ভিএস/এসএ