কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখানে তিনি জানান, বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল লাগাতার তাকে হুমকি দিয়ে চলেছেন।
চিঠিতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, শুধু তিনি নন নিরাপত্তীহনতায় ভুগছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।
গত ২৪ মার্চ এই চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। যদিও এ বিষয়ে এখনও ভারত সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে চিঠির বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এর আগেও একাধিক কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে এই নেতার নাম। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে উপাচার্যের সম্পর্ক প্রথম থেকেই তিক্ত। একাধিকবার উপাচার্যকে আক্রমণ করেছেন তৃনমূলের এই নেতা। প্রকাশ্যেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন অনুব্রত। এমনকি উপাচার্যের উদ্দেশে হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর যে শিক্ষা দেব, তুমি সারাজীবন মনে রাখবে’।
যদিও রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তা পান বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী সর্বদা তার সঙ্গে থাকেন।
গত ২৩ মার্চ বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে একটি গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটূক্তি করেন অনুব্রত মণ্ডল।
এর আগে শান্তিনিকেতনে মেলা প্রাঙ্গণের পাঁচিল দেওয়া নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। উপাচার্যের বক্তব্য ছিলো মেলা না থাকাকালে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হয় মেলার মাঠ। সে কারণেই পাঁচিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও সেই পাঁচিল ভেঙে দেয় অনুব্রত মন্ডল বলে অভিযোগ করেন উপাচার্য।
অনুব্রতর দাবি ছিল ঐতিহ্যবাহী মেলার মাঠে কোনোকালেই পাঁচিল ছিল না, তাই দেওয়া যাবে না। শুধু উপাচার্য নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রতারণার অভিযোগ আছে বীরভূমের এই নেতার বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ