কলকাতা: উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলার ৩০ আসনে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন চলছে। সকাল ৭টায় শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ অনেক জায়গায় তারা পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। সে কারণেই এজেন্টরা বুথ ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের জানান, গোটা এলাকায় সুস্থ ভোট হচ্ছে। আসলে নন্দীগ্রামে বিজেপির হাওয়া বইছে। তাই ওরা এজেন্টই দিতে পারেনি।
নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ারার ভাড়া বাড়িতে আছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ রাতে সেখানেই থাকবেন তিনি। সেখানেই একটি কন্ট্রোলরুম খুলে রেখেছিলেন। সকালের দিকে ভোট নিয়ে একটি কথাও না বললেও দুপুর দেড়টার পর হুইলচেয়ারে করে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর যই এলাকাগুলোয় অশান্তির খবর এসেছিল এবং তার দল এজেন্ট দিতে পারেনি সেসব জায়গায় ঘুরে দেখেন। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। সমস্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
এছাড়া ভোট শুরুর আগেই সকালে নন্দীগ্রামের সোনামুখী ও কালিচরণপুর এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা সামনে এসেছে। তৃণমূলের অভিযোগ এসব এলাকা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক তাই বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে। যাতে ভোটার বাড়ি থেকে না বেরোয়। পাল্টা একই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি করেছে।
নন্দীগ্রাম গোটা এলাকা কারফিউ জারি থাকলেও ভোরের দিকে বিজেপির এক পোলিং এজেন্ট ও এক কর্মীর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। অপরদিকে তৃণমূলের এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
মেদিনীপুরের কেশপুর আসনে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর ও শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে ইটবৃষ্টির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অপরদিকে ওই জেলার চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা সোহমকেও নির্যাতন করা হয়েছে বলে খবর এসেছে।
অর্থাৎ, চার জেলায় বিজেপি এবং তৃণমূল যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে বিরোধীদের ওপর অত্যাচার ও সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীসহ ৮০ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী থাকার পরও কীভাবে এসব ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যবাসী। তবে এর ফল কী হয় আগামী ২ মে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
ভিএস/এএ