কলকাতা: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নন্দীগ্রামের বয়াল এলাকায় এক ভোটকেন্দ্রে দুই ঘণ্টা ধরে বসে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রে তৃণমূলের এজেন্টদের বসতে বাধা দিয়েছে বিজেপি।
সেদিন তৃণমূল নেত্রীর ভোটকেন্দ্রের ভেতর দুই ঘণ্টা ধরে বসে থাকার ঘটনায় তুমুল অশান্তি হয়েছিল। এবার সেই একই কায়দায় তৃতীয় দফার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সামনে বসেছিলেন দক্ষিণ ২৪পরগনার মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী মইদুল ইসলাম।
মইদুলের অভিযোগ তৃণমূলের দিকে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় হাই মাদ্রাসার বুথে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। শাসক দল বুঝতে পারছিলো ভোট তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। স্থানীয় শাসক দলের সন্ত্রাসী বাহিনী ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বুথের বাইরে বসে পড়েন মইদুল। এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) জোট বেধেছে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে।
মইদুলের অভিযোগ, তৃণমূল এলাকা সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে ততক্ষণ বুথ ছেড়ে যাবেন না তিনি। এ ঘটনায় দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার ওই কেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ তাকে সরিয়ে নেয়।
যদিও ওই এলাকার তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ভোট শুরুর আগে সকাল থেকে দফায় দফায় ব্যাপক বোমাবাজি করে তৃণমূলের ভোটারদের ভয়ের সৃষ্টি করেছে আইএসএফ।
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যের ৩১টি আসনে চলছে তৃতীয় দফার ভোট। যে সব অভিযোগ এখনও অবধি সামনে এসেছে তার সিংহভাগ করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস।
শাসকদলের দাবি বিজেপি ভোটারদের প্রভাবিত করছে, ভোটদানে বাধা দিচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহযোগিতা করছে বলে তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো দলই বুথ দখল বা জাল ভোটের অভিযোগ এখনও করেনি। বেলা ১২টা অবধি তিন জেলায় ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। এই তিন জেলায় তৃণমূলের ঘাঁটি বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ