ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ভারতে পালিত হচ্ছে কৃষকদের সমর্থনে হরতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
ভারতে পালিত হচ্ছে কৃষকদের সমর্থনে হরতাল

কলকাতা: মোদী সরকারের তৈরি তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ডাকে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতজুড়ে চলছে হরতাল।  

সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ‘ভারত বন্ধ’ এ হরতাল।

দেশটির বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের প্রতিবাদে স্তব্ধ যান চলাচল, বন্ধ দোকানপাট, ব্যাহত সরকারি দপ্তরের কাজকর্ম। বাংলাতেও এর প্রভাব পড়েছে।

হরতালকে সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বামেরাও। নৈতিকভাবে এই আন্দলনের পাশে রয়েছে তৃণমূলও। কৃষকদের হরতালের সমর্থনে কলকাতার যাদবপুরসহ হাওড়ার পাণ্ডয়া, শ্যামনগরে রেল অবরোধ করে বাম কর্মীরা।

এছাড়া রাজ্যের কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বোলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সকালের দিকে পথ অবরোধ করেছিল বাম কর্মীরা। পাশাপাশি পতাকা হাতে হরতাল সমর্থনে মিছিল করে বামেরা। কলকাতাতেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে লাল পতাকা নিয়ে বাম কর্মীদের মিছিল হয়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সপ্তাহ শুরুর প্রথম দিনে চলাচলরতদের সমস্যায় পড়তে হয়। পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর কোনও অবরোধ হলে তা তুলথে শহরজুড়ে ৬০টি পিকেট বসিয়েছে কলকাতা পুলিশ। চলছে পুলিশি টহল। জোর করে কিছু বন্ধ করলেই আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, যেখানে গোটা ভারতে মোদী বিরোধী সব রাজনৈতিক দল কৃষকদের হরতালের সমর্থনে পথে নেমেছে সেখানে রাজ্যের তৃণমূল শুধু নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে। এতেই বোঝা যায় তিনি (মমতা) কতটা কৃষক দরদী। আসলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির 'বি টিম' হয়ে কাজ করছে মমতা।

এর পাশাপাশি সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, রাজ্য যেখানে সাত বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন বাকি সেখানে মোদী সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন মমতার কেন্দ্রে ভোট করছে। ২১৩ আসন পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায়। যে দলের এতগুলো বিধায়ক আছে সেখানে মমতার ভোট না করালে কী করে সাংবিধানিক সংকট হয়? সংবিধানেও এর কোনও বর্ণনা নেই। ফলে মোদী-মমতার মধ্যে বড় বোঝাপড়া আছে তা সবাই এখন বুঝতে পারছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যতই কুৎসা করুক না কেনো, 'কেন্দ্রে মোদি, রাজ্যে দিদি' এই নীতিতেই চলছে বিজেপি আর তৃণমূল।

অপরদিকে হরতালের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা রাজ্যে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশেও 'ভারত বনধ' চলছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির হরিয়ানা, পাঞ্জাব সীমানা। বন্ধ দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়ক। হরতাল সমর্থনকারীদের ঠেকাতে হরিয়ানান নানাপ্রান্তে ব়্যাফ, আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। কিষাণ মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ১০ মাস ধরে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। প্রয়োজনে ১০ বছর ধরে এই কর্মসূচি চলবে। কোনও মতেই কেন্দ্রীয় সরকারের কালো আইন মেনে নেব না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভিএস/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।