ঢাকা: ভারতে কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ষষ্ঠ ইউনিটে ফার্স্ট কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে গত ২০ ডিসেম্বর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কুদানকুলাম প্রকল্পের ছয়টি ইউনিট নির্মাণে সহযোগিতা দিচ্ছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটম।
এইএস-৯২ ডিজাইন অনুসারে নির্মিত বা নির্মীয়মান এই ইউনিটগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে বা হবে ভিভিইআর-১০০০ (ভি-৪১২) রিয়্যাক্টর। রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷
বাংলাদেশের রূপপুরে রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ও রোসাটমের নকসা অনুযায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের প্রথম এবং সর্বাধুনিক ৩+ প্রজন্মের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট। যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগা-ওয়াট।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম ধাপে দুটি ইউনিট ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিটের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। তৃতীয় ইউনিটে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। তৃতীয় ধাপে পঞ্চম ইউনিটের ফার্স্ট কংক্রিট অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের জুন মাসে।
এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই লেবেডেভ জানান, ‘কুদানকুলাম প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের কাজ সম্পন্ন হলে তামিলনাডুসহ সারা ভারতে শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। এছাড়াও এর ফলে রুশ ডিজাইনের অত্যাধুনিক ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট ব্যাবহারের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার ব্যাপারে পারষ্পরিক আস্থা আরও বাড়বে।
কুদানকুলাম প্রকল্পের ইউনিট পাঁচ এবং ছয়ের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে রাশিয়া এবং একই সঙ্গে ইউনিট দুটির নির্মাণের জন্য ওয়ার্কিং ডকুমেন্টেশনও তৈরি করছে তারা।
২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল তৃতীয় এবং চতুর্থ ইউনিটের জন্য সাধারণ কাঠামো চুক্তি সম্পাদনের পরই ভারতের সঙ্গে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিট নিয়ে আলোচনা শুরু করে রাশিয়া। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিটগুলোর ডিজাইন অনুসরণ করেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের নির্মাণের ব্যাপারে উভয় দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর সম্পাদিত আন্তঃসরকারি চুক্তির অধীনে ২০১৭ সালের ১ জুন একই সঙ্গে একটি ক্রেডিট প্রটোকল এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ ইউনিটের জন্য সাধারণ অবকাঠামো চুক্তি হয়।
কুদানকুলাম প্রকল্পের নতুন ইউনিটগুলো আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সি নির্ধারিত সব শর্তাবলী পূরণ করে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং সাধারণ নকশা প্রনয়ন ও মূল যন্ত্রপাতি সরবরাহের দ্বায়িত্ব পালন করছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা এএসই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এসকে/এমএমজেড