কলকাতা: মমতার সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সম্পর্ক আদায়- কাঁচকলায়। কেউ কারুর পরামর্শের ধার কাছ দিয়ে যায় না।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, কোনও সহযোগিতা করেন না আচার্য জগদীপ ধনকড়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে অন্তবর্তীকালীন ওই পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে শিক্ষা দফতর।
ব্রাত্যর অভিযোগ, ধনকড় আচার্য পদে বসে দীর্ঘদিন ফাইল আটকে রেখে অসহযোগিতা করছেন। নানাভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছেন। এখন ইউজিসি-কে দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, এই ভাবনা বাস্তবায়িত করতে সাংবিধানিক এবং আইনি পথ খতিয়ে দেখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন আচার্য পদে বসানো যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছি।
এদিকে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষার খোঁজ নিতে চলতি সপ্তাহে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্যদের ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। এতেই চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রীতিমতো টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কাল দশার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি।
টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য-উপাচার্য উপস্থিত হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় দলবাজি দেখে আমি স্তম্ভিত। রাজ্যে আইনের নয়, শাসকের শাসন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। রাজ্যের হাতে শিক্ষাব্যবস্থার হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।
জগদীপ ধনকড় টুইটে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল দলের সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেছেন, রাজ্যপালের টুইট আমাদের বিড়ম্বনার কারণ। রাজনৈতিক নেতারা ট্যুইট করে থাকেন। উনি তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়। কিছু বলার থাকলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারতেন। তাছাড়া শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে উপাচার্যদের চিঠি লিখলে, উপস্থিত থাকা অসুবিধাজনক। এরপরই শিক্ষামন্ত্রীর রাজ্যপালকে নিয়ে এহেন উক্তি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
ভিএস