আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার মাটি কাজু বাদাম চাষের উপযোগী। তাই অন্যান্য বাগিচা ফলের পাশাপাশি কাজু চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছে রাজ্য সরকারের উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগ।
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু কাজু চাষের জন্য বিখ্যাত। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের মাটি ও আবহাওয়াতে যথেষ্ট পরিমাণ কাজু উৎপাদন সম্ভব। তাই রাজ্য সরকার অন্যান্য বাগিচা ফলের পাশাপাশি কাজু চাষে গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে নাগিছড়া উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে উন্নত জাতের কাজু চারা উৎপাদন করা হচ্ছে।
এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দেড় হেক্টর জায়গায় রয়েছে কাজু বাদাম গবেষণা প্লট। এটি রাজ্যের একমাত্র কাজু গবেষণা কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নত মানের কাজু গাছ এনে এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়। ২০২১ সালে এখানে বিএলএ ৩৯-৪ জাতের ১৫ হাজার চারা উৎপাদন করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটলা এলাকার কাজু গবেষণা কেন্দ্র থেকে চারা এনে এখানে চাষ করা হয়েছিল। দেখা গেছে ত্রিপুরার আবহাওয়ায় এর ফলন খুব ভালো হয়। তাই এই জাতটি রাজ্যে ব্যাপকভাবে চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরও ছয়টি ভিন্ন জাতের কাজু গাছ লাগিয়ে দেখা হচ্ছে রাজ্যের আবহাওয়ায় এগুলো থেকে কী পরিমাণ ফলন হয়। একটি গাছে বছরে ১২ থেকে ১৫ কেজি কাজু যাতে উৎপাদন হয় এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে। মৌসুমে এক একটি গাছে ২০ থেকে ২১ কেজি পর্যন্ত কাজু উৎপাদন হয় এমন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে দেশে। ত্রিপুরায়ও এগুলো আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকার জাতীয় গ্রামীণ রোজগার প্রকল্পের মধ্য দিয়ে কাজু বাগান করে দিচ্ছে। পাশাপাশি অনেক চাষি নিজ উদ্যোগেও বাগান গড়ে তুলছেন। আগে রাজ্যের মানুষ তেমন কাজু চাষে আগ্রহী ছিলেন না। এগুলোতে ফলন আসতে কিছুটা দেরি হয় বলে। তবে এখন কলমের গাছে এক বছরের মধ্যে ফলন আসছে। কাজু চাষের আর একটি সুবিধা হলো অপেক্ষাকৃত অনুর্বর ও পরিত্যক্ত টিলা জমিতেও এর চাষ সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এসসিএন/এনএসআর