কলকাতা: ভারতে করোনা শনাক্তের বিচারে চতুর্থ স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। আর তাতে কলকাতায় আক্রান্তের হার ১২ শতাংশর উপরে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) থেকে এই নিয়ম কার্যকর করছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির কেন্দ্র সরকারকে চিঠিতে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ওমিক্রনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম রয়েছে ব্রিটেনের। তাই বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশাপাশি মমতার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওমিক্রনে ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন দেশ থেকে কলকাতায় এলে নিজের খরচেই করতে হবে কোভিড পরীক্ষা। বিমান সংস্থাগুলোকে কোভিড পরীক্ষার এই দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের ৮টি জেলার মধ্যে কলকাতায় সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৪৫ থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত ১১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল।
তিনি বলেছেন, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কথা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার অনেক বেড়েছে। কেরালায়ও বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গুজরাট এবং দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ১০টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে।
ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। এদিন স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণে উদ্বেগজনক তথ্য মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। দিল্লির মতো কলকাতাতেও ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ এর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শনাক্তের পূর্বাভাস দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে আবার মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
ভিএস/এনএসআর