কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্তের হার কলকাতায়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি রোগী।
কোভিড শনাক্তদের মোট ছয় রকমের ফল দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে- আপেল, মোসাম্বি, কুল, কিউই, কমলালেবু ও বেদানা। এসব ফল মোড়কজাত হচ্ছে কলকাতার বড় বাজারের মেছুয়া ফলপট্টিতে। সেখানে গাড়িতে আসা ফল বাছাই করে সাজানো হচ্ছে ছোট ঝুড়িতে। আর কলকাতা করপোরেশনের গাড়ি তা নিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি ওয়ার্ডে। কোভিড রোগীদের তালিকা দেখে তা বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।
মোড়কজাতের দায়িত্ব থাকা অজয় বাংলানিউজকে বলেন, এটা দিদির উদ্যোগ। এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের ভিটামিন সি দরকার। সেভাবে ফলের ঝুড়ি সাজানো হচ্ছে। এমনভাবে মোড়কজাত করা হচ্ছে যাতে ফলগুলো সহজে নষ্ট না হয়। কোভিড রোগীরা তিন-চারদিন এসব ফল খেতে পারবেন।
কলকাতা করপোরেশন জানিয়েছে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দায়িত্বে এই ফলের ঝুড়ি তৈরি হচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই সেবা। পরে পরিস্থিতি বুঝে মেয়াদ বাড়ানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কোভিড রোগীদের ফল দেওয়া সামান্য একটা উদ্যোগ। তারা যাতে নিজেকে একা মনে না করেন। রাজ্য সরকার তাদের পাশে আছে। কোভিড রোগীদের ফল পাঠাতে ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট দপ্তর ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তর পুলিশদের দেখছে। চিকিৎসকদের দেখছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সংবাদমাধ্যমকে দেখেছে আলাদা দপ্তর। এরসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে তারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে রেশনও। আমরা চাই সবাই সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি কাজে ফিরে আসুক। কোভিড নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তবে বিশেষজ্ঞদের মত জানুয়ারির মাঝামাঝি আক্রান্তের হার আরও বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গে দিনে ৪০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঘোষণা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি ২০২১
ভিএস/এনএসআর