ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে স্থাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে স্থাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য

কলকাতা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। এই দিনটি উপলক্ষে সোমবার (১০ জানুয়ারি) কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য, ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

 

অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের মিশন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে, জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কলকাতায় অতিবাহিত করেছিলেন। বর্তমান মৌলানা আজাদ কলেজের ছাত্রাবাস, বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। ছাত্রবস্থায় ওই কক্ষেই দিনযাপন করতেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর কলকাতার শিক্ষা সময় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু কলকাতা সফর করেন এবং ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেসময় বঙ্গবন্ধু কলকাতার এই বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন ভবনটি সফর করেন এবং মিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। ফলে ঐতিহাসিকভাবে কলকাতায় এই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই মিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি মিশনের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, কলকাতার বাংলাদেশ মিশনে এই প্রথম বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপিত হলো। এর আগে, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বঙ্গবন্ধু মঞ্চ ও মিশনের বাইরের দেওয়ালে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ নামে একটি ম্যুরাল গত বছর উন্মোচন করেছিলেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।  

মিশন প্রাঙ্গণের যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে, সেখানেই বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে। ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ ব্রোঞ্জ দ্বারা নির্মিত। দীর্ঘ ছয়মাস সময় নিয়ে তৈরি করেছেন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের শিল্পী সুবীর পাল।

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বর্হিবিশ্বে বিদেশের মাটিতে এই ভবনেই প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উঠেছিল। এই ভবনে জাতির পিতা পদচারণ করেছিল। সেই ভবনে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যর মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানো হয়েছে।

এছাড়া দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন উপ হাইকমিশনের কর্তারা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর ছিল এক আলোচনা অনুষ্ঠান। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে করোনা বিধি-নিষেধ চলছে। সে কারণে স্বল্প আকারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং উপস্থিত কলকাতাবাসী মাস্ক পরিধান করে যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব সানজিদা জেসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।