ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে স্বাবলম্বী সুবীর হালদার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
কাশ্মিরি আপেল কুল চাষে স্বাবলম্বী সুবীর হালদার

আগরতলা, ত্রিপুরা (ভারত): ত্রিপুরার খোয়াই জেলার অন্তর্গত উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার যুবক সুবীর হালদার। তিনি নিজের দুই বিঘা জমিতে কাশ্মিরি কুল চাষ করে এখন আত্মনির্ভরশীলতার পথে।

শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে কীভাবে নিজে আত্মনির্ভর হওয়া যায় সে বিষয়ে যখন খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তখন ইউটিউব থেকেই জানতে পারেন কাশ্মিরি আপেল কুল সম্পর্কে। এরপর তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কুলের চারা আনিয়ে নিজের দুই বিঘা জমিতে লাগান।

এখন সুবীর হালদারের বাগানের সব কাশ্মিরি আপেল কুল গাছ লাল হয়ে আছে। দূর থেকে হঠাৎ দেখলে মনে হয় যেন আপেল ধরে আছে।

নিজের কুলবাগানে সুবীর হালদার

বাগানে দাঁড়িয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে সুবীল জানান, ২০১৯ সালে ৯৬০টি কুলের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। এখন বাগানে মোট ৬০০টি গাছ রয়েছে। এই বাগান তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ রুপি, গত বছর থেকে কুল ধরছে। গত বছর প্রায় ২ হাজার ৫০০ কেজি কুল ধরে ছিল এবং সেগুলি বিক্রি করে মোট আড়াই লাখ রুপি লাভ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এবছর প্রতি কেজি কুল ১৫০ থেকে ২০০ রুপি দরে বিক্রি করছেন। তার আশা এ বছর যে পরিমাণ কুল ধরেছে তা বিক্রি করে ২ লাখ রুপি লাভ হতে পারে। শুধুমাত্র কুলই নয়, এই গাছগুলো থেকে কলম চারা বিক্রি করেও বাড়তি আয় হচ্ছে। এক একটি চারা ১২০ রুপি দামে বিক্রি করছেন। এবছর মোট ৪০০০টি চারা করেছেন। এরই মধ্যে বিক্রিও করেছেন আড়াই হাজার চারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।