ঢাকা: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত বিশ্বাস করে তার সমৃদ্ধি এবং বৃদ্ধি প্রতিবেশীদের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবেশীদের উন্নয়ন না হলে আমরা উন্নয়ন করতে পারবো না।
বুধবার (২ মার্চ) সেন্ট স্টিফেনস ইয়াং লিডারস নেবারহুড ফার্স্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেন্ট স্টিফেনস ইয়াং লিডারস নেবারহুড ফার্স্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামে উদ্বোধনী ভাষণের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সেন্ট স্টিফেন কলেজের শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। চার দশক পর এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমি সেন্ট স্টিফেন কলেজকে ইয়ং লিডারস নেবারহুড ফার্স্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরুর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। এই উদ্যোগ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর তরুণ পেশাদারদের একত্রিত করতে চায়৷ এটি ভারত সরকারের অধীনে পরিচালিত ভারতীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রোগ্রামের অধীনে চালু হচ্ছে। আর এই প্রোগ্রামটি ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এই প্রোগ্রামটি চালু করার জন্য সেন্ট স্টিফেনস কলেজ এবং এর সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড লার্নিং-এর সঙ্গে কাজ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুশি। বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ২১ জন পেশাদার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। এটি অত্যন্ত দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাচিত দল। এটি এমন একটি দল যা ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আশার প্রতিনিধিত্ব করে।
আমাদের দুটি কেন্দ্রীয় অগ্রাধিকার হলো আমাদের প্রতিবেশী। যেমন আমি আগে উল্লেখ করেছি এবং আমাদের ফোকাস তরুণদের ওপর।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা সবাই যে জাতি থেকে এসেছি, তারা প্রতিবেশী। আমরা একটি ভৌগলিক স্থান ও সম্পদ এবং সমানভাবে শেয়ার করি। আমরা একটি ঐতিহ্য এবং ইতিহাস শেয়ার করি। আমি বিশ্বাস করি যে , আমরা জীবনের সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করি তাতে আমরা একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ভাগভাগাভাগি করি। আমি এও বিশ্বাস করি যে আমরা যে আকাঙ্ক্ষাগুলোকে উল্লেখ করেছি তা ভাগ করে নিই। এই অভিন্নতা এবং ভাগ করা আকাঙ্ক্ষাগুলো ভারতের নেগবারহুড ফার্স্ট নীতির অন্তর্গত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ভারত এখানে প্রতিনিধিত্ব করা দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, যেমন, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং আমাদের প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের সঙ্গে। এই দেশগুলোই আমাদের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে প্রথম এবং সর্বাগ্রে আসে৷
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেশীদের উন্নয়ন না হলে আমরা উন্নয়ন করতে পারবো না।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো জানেন, ভারতে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আপনাদের তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, যারা নির্বাচিত হয়েছেন আপনারাই তরুণ নেতা হিসেবে ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা,মার্চ ০৩, ২০২২
টিআর/এসআইএস