কলকাতা: শীতের ভর দুপুরের রোদ যতটা মিষ্টি লাগে কিন্তু ভরা বসন্তে তা যেন লাগে অসহ্য! যদিও সেই অর্থে কলকাতায় এখনও গরম না পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সল্টলেকে চলছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা।
করোনা মহামারি এলোমেলো করে দিয়েছে অনেক কিছুই। গত দুই বছর প্রায় সবক্ষেত্রে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল বাঙালি। বইমেলা মানেই বাঙালির মগজাস্ত্রে বাড়তি শাণ দেওয়া। তাই কলকাতার বাঙালির কাছে বইমেলা আজও প্রাণের উৎসব। রোদ ও গরমের জন্য কি তা থেকে দূরে থাকা যায়?
মেলায় দর্শনার্থী ও পাঠকদের ভিড়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতেই চলছে বই কেনাকাটা। ক্রেতা-বিক্রেতা তীব্র রোদ ও গরমে নাকাল প্রায়। তবুও ভরপুর উৎসাহে কিছু সংখ্যক বইপ্রেমী সেই অস্বস্তি উড়িয়ে দিতে চাইছেন। বইমেলার বিশাল অডিটোরিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ফলে মাঝপথে অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি জিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সাধারণত কলকাতায় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয় বইমেলা। এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে তা প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে। ফলে মার্চ মাসের শুরুতে বইমেলা প্রাঙ্গণের মধ্যে অনেকটাই ফারাক। গরমের জন্য মেলায় এবার পাঠক কিছুটা কম। তবে, রোদ ও গরম উপেক্ষা করে যারা আসছেন আক্ষরিক অর্থে তারাই বইপ্রেমী তা বলা যেতেই পারে।
তার ওপর করোনার কারণে বইমেলার প্রতিটি স্টল ৩৫ শতাংশ ছোট করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া বইমেলায় ঘোরাঘুরি করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে তীব্র রোদ আর গরম। এছাড়া অনলাইনে অর্ডার করলেও পাওয়া যাচ্ছে বই। ফলে কলকাতার নিরিখে শনিবার, রোববার ছুটির দিন হলেও গতবারের তুলনায় এবারের বইমেলার ভিড় একটু কম।
এবারের ৪৫ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার এবারের থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে, শনিবারও (৫ মার্চ) বইমেলা যে খুব জমে উঠেছে তা বলা যাবে না। রোববার ছুটির দিন থাকায় বইমেলা জমে উঠতে পারে বলে আশাবাদী মেলা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
ভিএস/এএটি