ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

উপনির্বাচনেও মমতার দলের চমক বাবুল-শত্রুঘ্ন!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
উপনির্বাচনেও মমতার দলের চমক বাবুল-শত্রুঘ্ন!

কলকাতা: সম্প্রতি ভারতের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গে দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। একটি লোকসভা ও অপরটি বিধানসভা উপনির্বাচন।

দুই কেন্দ্রেই তারকা প্রার্থীকে টিকেট দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এর মধ্যে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা এবং দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়।

২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অপরদিকে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাবুলকে টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী অরুপ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি। হেরে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারাতে হয় বাবুলকে। তখনই দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর মমতার দলে আসায় নিয়ম মাফিক সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল। তাই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে।

এবার আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিহারীবাবু নামে খ্যাত শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোল হলো শিল্পনগরী। সেখানে বিহারী শ্রমিকদের আধিপত্য বেশি। সেই অংক কষেই সম্ভবত শত্রুঘ্ন সিনহাকে টিকেট দিয়েছে তৃণমূল। যদিও এই শ্রমিকরা দুইবার বাবুলকে জয়ী করেছিলেন। ফলে বিহারী প্রার্থী হলেও শত্রুঘ্নর লড়াই খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল। পাশাপাশি এই কেন্দ্র থেকে ২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল।

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামোন্নয়ন পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায় গত বছর কালীপূজার দিন প্রয়াত হয়েছিলেন। ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু তার প্রয়াণে ওখানেও উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আর এই কেন্দ্রেই প্রার্থী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্রটি একসময় কংগ্রেস এবং বর্তমানে তৃণমূলের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ফলে এখান থেকে বাবুলের জয়ী হওয়া যেন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

তৃণমূলে যোগদান করে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গর্বিত। উনি বাংলার বাঘিনী। আমি তার মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আসানসোলে বিভিন্ন এলাকা ও ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছেন। বিহারের বহু মানুষও থাকেন সেখানে। তারা নিশ্চয়ই আমায় সমর্থন করবেন। আমার বিশ্বাস, আসানসোলের মানুষের ভরসা জয় করতে পারবো। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এ পাটনায় বিজেপি প্রার্থী হয়ে হারের পর কংগ্রেসে যোগদান করেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

এদিকে বালিগঞ্জের প্রার্থী হয়েই প্রচারে নেমে পড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। দেয়ালে দলের প্রতীক আঁকতে আঁকতে বাবুল বলেন, দেখুন আমি বিজেপি থেকে এসেছি। কিছু মতানৈক্য থাকবে, কিন্তু সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলব। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকবে। আমি সবার প্রশ্নের উত্তর দেব। দিদির ভালবাসা, অনুপ্রেরণাতেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। দল যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে এগোবো। দিদি আমার ওপর যে ভরসা আস্থা দেখিয়েছেন তাতে আমি ধন্য। আমি চেষ্টা করব তার আস্থার মর্যাদা রাখতে।

আগামী ১২ এপ্রিল দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
ভিএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।