ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

এখন বাঘ-সিংহও দত্তক নিতে পারবেন কলকাতাবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২২
এখন বাঘ-সিংহও দত্তক নিতে পারবেন কলকাতাবাসী

কলকতা: কলকাতার আলিপুর ভারতের প্রথম এবং প্রাচীন চিড়িয়াখানা। ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানা কলকাতার অন্যতম প্রধান একটি পর্যটনকেন্দ্র।

এবার সেই চিড়িয়াখানায় এলো অভিনবত্ব। এখন থেকে বাঘ, সিংহ, সাপ, পশুপাখির মাসিক অভিভাবক হতে পারবেন সাধারণ মানুষও। মাসিক চুক্তিতে দত্তক নেওয়ায় বিষয়টা আরও সহজ করল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্যে আয় বাড়ানো এবং আরও কাছ থেকে জানা যাবে পছন্দের প্রাণীটি সম্পর্কে।  

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা আশীষ সামন্ত বলেন, আগে এক বছরের চুক্তিতে পশুপাখির দত্তক নিতে পারতেন সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়াতে এখন মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আর তাতেই সাড়া মিলেছে। চলতি বছরে কলকাতার১০৭ জন পশুপাখি দত্তক নিয়েছেন। এ থেকে চিড়িয়াখানায় আয় হয়েছে প্রায় ১৯ লাখ রুপি। যা গত বছরে ছিল ১৩ লাখের আশপাশে। বছর শেষের মধ্যে আগ্রহীর সংখ্যা আর বাড়বে বলেই আশাবাদী আশীষ।

তার অভিমত, অনেকের ইচ্ছা থাকলেও একবছরের জন্য অর্থ দিয়ে দত্তক নিতে রাজী হতেন না। এবার তাদের কথা মাথায় রেখে মাসিক ভিত্তিতে পশুপাখি দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আগে যেখানে দত্তক নিলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিটির কেবল নাম, ঠিকানা লেখা থাকত, সেখানে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে দত্তক নেওয়া ব্যাক্তিটির ছবিও ব্যবহার করছি। নতুন ব্যবস্থাতে সাফল্য এসেছে। প্রতিদিনই লোকজন আসছেন, দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

কর্তৃপক্ষ জানান, সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন তারকারা, তেমনই আছেন সাধারণ মানুষও। মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থায় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরাও এতে সামিল হচ্ছেন। যদিও বড় পশুদের তুলনায় পাখি বা বিড়াল জাতীয় পশুদের দত্তক নেওয়ার প্রবণতাই বেশি।

তবে, বাঘ, সিংহ, হাতির বিষয়ে কেউ খোঁজ নিচ্ছেন না, তেমনটা নয়। আসলে এদের খোরাকও তো বেশি। ভবিষ্যতে সে বিষয়ে নিশ্চই ভাবনাচিন্তা কো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সারা বছরই কমবেশি ভিড় থাকে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে। আর শীতকালে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। করোনা মহামারির সময় সাধারণ মানুষকে পশুপাখির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। এবার তাই অতিমারি পর্ব কাটিয়ে রেকর্ড ভিড়ের আশা করছে কলকাতা চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ।

মূলত চিড়িয়াখানা সব সময় সবার কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ, অ্যানাকোন্ডা দেখতে সারাবছরই ভিড় লেগে থাকে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ২০১৫ সালে ‘অ্যাডপ্ট এ ওয়াইল্ড চাইল্ড’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে নিবিড় মেলবন্ধন গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, মানুষের মধ্যে পশুপাখি দত্তক নেওয়ার প্রবণতা আগের তুলনায় বেড়েছে কলকাতায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।