ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক ছাদের নিচে সব সাপোর্ট চাই

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৫
এক ছাদের নিচে সব সাপোর্ট চাই ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু থেকে: বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি আনতে এক ছাদের নিচে সব ধরনের রেগুলেটরি সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।   

ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের প্লানারি সেশনে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা একথা বলেন।

এ সেশনে এসেনচারের এশিয়া প্যাসিফিক কমিউনিকেশন্সের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিউয়েসেপি জেনেলি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. এম মাসরুর রিয়াজ, টেলিনরের প্রেসিডেন্ট জন ফ্রেডরিক বাকসাস এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অংশ নেন।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেই দিনব্যাপী সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনর, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এসেনচার ও বেসিস এ সামিটের আয়োজন করেছে।    

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০ বছরের পুরোনো কর পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিষয়টি বিবেচনা করা জরুরি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) গ্রুপ ক্যাপ্টেন নাজমুল আনামের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিমান চলাচল খাতে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাব। এজন্য নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরি করবো। কারণ, বর্তমান হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জায়গার স্বল্পতা রয়েছে।

জেনেলি বলেন, আউটসোর্সিং খাতে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এদেশের জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশের বয়স ৩৪ বছরের নিচে। এ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হিসেবে তৈরি করতে হবে। তাহলেই এখানকার ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং রফতানিতে বৈচিত্র্য আনার সুযোগ মিলবে। এছাড়া সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এজন্য চাই স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও টেকনোলজি পার্ক। ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ওয়ান স্টপ রেগুলেটরি সাপোর্টের ওপর জোর দেন তিনি।

ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, ভারত গ্লোবাল আইটসোর্সিং সেবা খাত থেকে ২০১৪ সালে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশও এখান থেকে বিপুল অংকের রাজস্ব আয় করতে পারে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোবাইলই সবচেয়ে বড় যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম। এজন্য মোবাইল খাতে অধিকতর প্রবৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার প্রয়োজন। মোবাইল খাত থেকে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে যদি এ খাতের কর পদ্ধতিতে সংশোধন আনা যায়। সেই সঙ্গে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা সংশোধন, স্পেকট্রাম রোডম্যাপ, আইটি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে এ খাত হতে পারে সম্ভাবনাময় উন্নয়ন খাত।    

টেলিনরের প্রেসিডেন্ট জন ফ্রেডরিক বাকসাস বলেন, তারা মোবাইল খাতে বাংলাদেশে ফোর-জি চালু করতে চান। এজন্য সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ আশা করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘন্টা, মে ০৭, ২০১৫
আইএইচ/একে/এএসআর

** শেয়ার বাজারে আসছে বিদেশি আইটি কোম্পানি
** বাংলাদেশ হবে গ্লোবাল আইটি ইন্ডাস্ট্রি’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।