ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে স্বীকৃতি পেলো দেশসেরা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে স্বীকৃতি পেলো দেশসেরা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৫’ শীর্ষক কার্যক্রমের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো  অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে স্বীকৃতি পেলো দেশসেরা প্রায় একশ’ আউটসোর্সিং প্রফেশনালস ও প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বিশেষ অতিথি  শিক্ষা সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত থেকে নির্বাচিতদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।



অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, আমরা ২০২০ সাল নাগাদ ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং তথা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কাজের কোনো বিকল্প নেই।

মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবছর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ২০ হাজার আইটি প্রফেশনালস বের হচ্ছে। এছাড়া সরকার তথ্যপ্রযুক্তিকে শিক্ষা কার্যক্রমে বাধ্যতামূলক করছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার’ প্রসারে দেশের ১২৫ উপজেলায় আইসিটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় এ ধরনের আইসিটি ভবন নির্মাণ করা। আর এর মাধ্যমে আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তিতেই সবচেয়ে বেশি জনবল তৈরি হবে।

বক্তব্যে শামীম আহসান বলেন, অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মকে আরও অধিকহারে ব্যক্তি পর্যায়ে অথবা আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে অনলাইন আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেসিসের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া বেসিসের বিআইটিএমের মাধ্যমে আমরা ২০১৮ সাল নাগাদ ২৩ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। একই সময়ে ১০ লাখ আইটি প্রফেশনালস তৈরির কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবছর ৬৪টি জেলা থেকে সেরা ৫৮ জন আইটি উদ্যোক্তা, ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে ৮ জন এবং ৩ জনকে নারী ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে ১৫টি কোম্পানি আউটসোর্সিং খাতে বিশেষ অবদানের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। এছাড়া এবারই প্রথম স্টার্টআপ কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ১০টি কোম্পানিকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন শাখায় অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং এ কাজে দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বীকৃতিদানের লক্ষ্যে বেসিস কয়েকবছর ধরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। কয়েকটি ধাপে নিবিড় পর্যালোচনা ও সাক্ষাতকারের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে রপ্তানীর পরিমাণ, কর্মসংস্থান ও তাদের সামাজিক ভূমিকাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

এবারের আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম), ব্যাংক এশিয়া, পেওনিয়ার ও  বিডিজবস ডটকম।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।