ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধনে সাড়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধনে সাড়া

ঢাকা: আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) নিয়ে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো। নতুন গ্রাহকেরা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবির সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম কিনছেন।

পুরনো গ্রাহকেরাও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিজ নামে কেনা সিম ভেরিফিকেশন করছেন।
 
নতুন সংযোগ বিক্রি ও পুরনো গ্রাহকদের সংযোগ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে একজন  গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও চারটি আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হচ্ছে। তবে সিম রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে সমস্যার কথা জানিয়েছেন গ্রাহকেরা।
 
আনুষ্ঠানিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধনের পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও সেবা কেন্দ্রে ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিটিআরসি ভবনে আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর দিন থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেছে অপারেটরগুলো।
 
কার্যক্রম শুরুর দিন রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটক, বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও সিটিসেলের সেবা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
 
বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় টেলিটকের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে সকাল থেকে ৯টি সিমের ভেরিফিকেশন হয়েছে। এছাড়া নতুন সিম কেনার ক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
 
সেখানকার একজন কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকদের সুবিধার্থে দু’হাতের চার আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সিম কেনার সময় কোন আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছে তা মনে করতে পারছেন না অনেক গ্রাহক।
 
বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকরাইলে সিটিসেলের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে ৬টি রিমের ভেরিফিকেশন হয়েছে। নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে।  
 
দুপুরে পুরানা পল্টনে গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নতুন গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিবন্ধন চলছে। পুরাতন গ্রাহকদের পুনঃনিবন্ধনের বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।  
 
ভেরিফিকেশনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মোবাইল সংযোগ এবং এক কপি ছবি নিয়ে আসতে হবে। নতুন সংযোগ কেনার সময়ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপির সঙ্গে প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট আকারের ছবির।
 
জাতীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের (এনআইডি) কাছে তথ্য গ্রহণ করতে এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে সরকার।
 
আগামী এপ্রিলের মধ্যে গ্রাহকদের এ পদ্ধতিতে নিবন্ধন শেষ করার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সিম নিবন্ধন না করা হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। এরপর ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
 
এখন সারা দেশে ছয়টি অপারেটরের রি-টেইলার পর্যায়ে ৮১ হাজার ৫০০টি ডিভাইস দিয়ে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। এসব ডিভাইস বিভিন্ন অপারেটরের মধ্যে শেয়ার করার সুযোগ রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।