ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলালিংকের ডিজিটাল যাত্রার দূত সাকিব-শিশির

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৬
বাংলালিংকের ডিজিটাল যাত্রার দূত সাকিব-শিশির ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আবারও দুই বছরের জন্য বাংলালিংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে এবার আর একা নন তিনি, সঙ্গে পাচ্ছেন স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে।

মোবাইল অপারেটরটির ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবেন এ দম্পতি।  

ঘোষণা উপলক্ষে সোমবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলালিংক।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ মোবাইল অপারেটর ইভেন্টকে ‘টাইগার্স রি-ইউনাইটেড’ আখ্যা দেয়।
 
আয়োজকরা জানান, বাংলালিংকের অগ্রযাত্রায় পরবর্তী দুই বছরের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন সাকিব ও শিশির। ‘তারুণ্যের প্রতীক’ হিসেবে ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও উম্মে আহমেদ শিশিরকে সেরা ভাবেন তারা।
 
অনুষ্ঠানে শিশিরকে শুধু সাকিবের স্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মডেল হিসেবেও পরিচয় করিয়ে দেয় উপস্থাপক আমব্রিন।  
 
আগামী দুই বছর এ দম্পতি বাংলালিংকের প্রতিনিধিত্ব করবেন। চুক্তির শর্তমতে, এ সময় তারা নিজেরাও বাংলালিংকের নম্বর ব্যবহার করবেন। সে নম্বরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই আনলিমিটেড রোমিং সুবিধা পাবেন তারা।
 
বাঘের গর্জনে মঞ্চে আসেন সাকিব। বলেন, দূতিয়ালিতে পাশে একজনকে পেলে সত্যিই ভালো হয়। বন্ধু, প্রিয়জন হতে পারে, আর তিনি যদি প্রিয়তমা স্ত্রী হন, তাহলে তো কথাই নেই!
 
সাকিব বলেন, বাংলালিংকের উদ্যোগের কথা শুনে ভালো লেগেছে। মানুষকে ক্ষমতায়িত করার উদ্দেশ্য তাদের। এ কনসেপ্টটি ভালো লেগেছে বলে আবারও বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হয়েছি। আশা করি, আমরা (সাকিব ও শিশির) মানুষের বিশ্বাস রাখতে পারবো।
 
শিশির বলেন, আমার জন্য অবশ্যই এটি ভালো অভিজ্ঞতা। একসঙ্গে দুজনের কাজ করার সুযোগ হলো। তরুণদের নিয়ে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা, তাদের সেবা করার সুযোগ আছে বলেই এখানে এসেছি।  
 
কর্মকর্তারা জানান, বাংলালিংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় পার করছে। ভবিষ্যতে এটি একটি ডিজিটাল কোম্পানিতে রূপ নিতে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে এতে আসছে যুগান্তকারী এবং নতুন সব সেবা, যা জনগণের জীবনে মৌলিক ভিত্তিতে পরিবর্তন ও স্বাচ্ছন্দ্য আনবে।
 
তারা বলেন, বাংলালিংক ডিজিটাল এবং আরো ডাটাভিত্তিক হওয়ার পথে। এ পরিবর্তনে সাকিব ও শিশির সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। সাকিব তার অধ্যবসায়, মেধা, দক্ষতা এবং একাগ্রতার মাধ্যমে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন। বাংলালিংক তার সঙ্গে একত্রিত হতে পেরে গর্বিত এবং সাকিবের দৃষ্টান্ত ধরেই বাংলালিংকও একটি বিশ্বমানের ডিজিটাল কোম্পানিতে পরিণত হতে চায়। সেবার মাধ্যমে মানুষের ক্ষমতায়ন ও ভালোবাসা অর্জন করতে চাই আমরা।
 
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক অস বলেন, বাংলাদেশের মানুষের রক্তে মিশে আছে ক্রিকেট। সাকিব ও শিশিরকে পেয়ে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছি। ক্রিকেট যেমন সবাইকে এক করে, সেভাবে সাকিব-শিশিরের সহযোগিতায় বাংলালিংকও সবাইকে এক করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
 
তিনি বলেন, বাংলালিংকের জন্য এটি একটি দারুণ দিন এবং ডিজিটাল যুগে প্রবেশে একটি সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুললো।
 
বাংলালিংক সিসিও শিহাব আহমেদ বলেন, এটি তারুণ্যদীপ্ত একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে এখন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। এটি বিশেষ একটি পরিবর্তন। মননে তারুণ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে বাংলালিংক। তাদের প্রেরণার  উৎস সাকিব। তাই বাংলালিংক ও তিনি পরস্পরের সঙ্গী রয়েছে। এর মধ্যে শিশির আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন।
 
প্রেস ইভেন্টে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের জন্য র‌্যাফেল ড্র আয়োজনে সাকিবের স্বাক্ষরিত ব্যাট ও বল জেতেন পাঁচ সাংবাদিক। তাদের মধ্যে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাজেদা সুইটি ও স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট জনি হক অন্যতম।
 
আনুষ্ঠানিকতার শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাকিব। বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্রমশ ভালো করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমানকে চলতি ক্রিকেট বিশ্বের ‘সেরা বোলার’ হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
এসকেএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।