ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৬
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে। এতে জনগণের ভোগান্তি কমে আসবে, তারা সেবা গ্রহণে আগ্রহী হবেন।

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৬ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ও উদ্ভাবনী উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মুখ্য সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন যেমন বাস্তব, তেমনি বাস্তব হবে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল দেশ গড়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে অতি সহজে মানুষকে সেবা দেওয়া। জনগণের জন্য ভালো কাজকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সরকারের ভালো কাজের প্রচার করতে হবে বার বার।

তিনি আরও বলেন, সরকার রূপকল্প তৈরি করে অগ্রসর হচ্ছে। ২০২১, ২০৪১ এবং ২০৭১ সালে কেমন বাংলাদেশ হবে সে পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে সরকার। সরকারের এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাসহ সবাইকে প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে হবে।    


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মঈন উদ্দিন, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির উজ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম এবং এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনিসুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ফারুক হোসেন।

একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের সহায়তায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তরুণ উদ্ভাবকদের মোট ৪২টি স্টল অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ৫৪ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইনোভেশন পুরস্কার দেওয়া হয়।  

আইসিটি ব্যবহার ও উদ্ভাবন চর্চায় শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক পদক পান কুষ্টিয়ার ডিসি সৈয়দ বেলাল হোসেন, খুলনার ডিসি নাজমুল আহসান (কর্মক্ষেত্র সাতক্ষীরা) এবং যশোরের ডিসি ড. মো. হুমায়ুন কবীর।   এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৬ ক্যাটাগরিতে মেলায় অংশ নেওয়া ৯টি স্টলকে  পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।